প্রস্তুতি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে। প্রথম ম্যাচে ২৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন মুশফিকরা। দলীয় সমন্বয়ের দারুণ নজির গড়ে ম্যাচটা জিতেছিলেন চার উইকেটে। সিরিজটা কেন তিন ম্যাচের হলো না, এ নিয়ে আক্ষেপও করেছেন কুমার সাঙ্গাকারার মতো লঙ্কান কিংবদন্তি। টেস্ট সিরিজের মতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে ওয়ানডে সিরিজেও।
আজ শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে নিছকই এক প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন মাশরাফি-মুশফিকরা। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ বলে গা ছাড়া দেননি কোনো দলের ক্রিকেটারই। উপহার দিয়েছেন জমজমাট এক লড়াই। শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ মাত্র ২ রানে হেরে গেলেও উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই অনেক প্রেরণা জোগাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ বিশ্রাম দিয়েছিল তিন তারকা তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে। অন্যদিকে প্রায় পূর্ণশক্তির দল নিয়েই মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহও জমা করেছিলেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। তামিম-সাকিববিহীন বাংলাদেশ যে ৩৫৫ রান তাড়া করে জয় পাবেন, এমন আশা হয়তো কেউই করেননি।
কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে সবাইকে চমকে দিয়েছেন সাব্বির-মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফিরা। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার ইমরুল কায়েসের উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়লেও দারুণ লড়াকু মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের ৪৭, সাব্বিরের ৭২, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৫৩ রানের ইনিংসগুলো টাইগারদের অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিল জয়ের পথে। কিন্তু একেবারে শেষ পর্যায়ে মূল চমকটা দেখিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও অধিনায়ক মাশরাফি।
২৩৯ রানে সাত উইকেট হারানোর পর অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও মাশরাফি গড়েছিলেন ৫৮ বলে ১০১ রানের ঝড়ো জুটি। ৪৯তম ওভারে মাশরাফি ৫৮ রান করে আউট হয়ে না গেলে হয়তো জয়ের তৃপ্তি নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭১ রান করে।
আগামী ২৫ মার্চ শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ।