নকআউট পর্বে কী হয় রোনালদোর?

২০১৬ সালে প্রায় একক নৈপুণ্য দেখিয়ে পর্তুগালকে জিতিয়েছিলেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। এবারের বিশ্বকাপেও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দিকে তাকিয়ে ছিলেন পর্তুগালের সমর্থকরা। অগণিত ভক্তের কৌতূহলী দৃষ্টি ছিল এই ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’র দিকে।
বিশ্বকাপের শুরুতে তেমন অসাধারণ কিছু করে দেখানোর ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন রোনালদো। ফেভারিট স্পেনের বিপক্ষে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। তাঁর দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ভর করেই পর্তুগাল ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল স্পেনের বিপক্ষে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আবারও গোল করেছিলেন রোনালদো। তাঁর গোলের সুবাদেই মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল পর্তুগাল।
কিন্তু নকআউট পর্বে এসেই কী যেন হয়ে গেল রোনালদোর। বিদায় নিতে হলো উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে। এবার আর দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারলেন না পর্তুগালের অধিনায়ক। শুরু এবারের আসরেই না। বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব এলেই কী যেন হয়ে যায় রোনালদোর। আর পান না গোলের দেখা।
২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেছিলেন রোনালদো। সেবার ছয় ম্যাচ খেলে করেছিলেন একটি গোল। সেটা গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ খেলে রোনালদো করেছিলেন একটি গোল। সেটিও ছিল গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। ২০১৪ বিশ্বকাপে পর্তুগালকে বিদায় নিতে হয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। সেবারও রোনালদো করেছিলেন একটি গোল। আর এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলে চার গোল করেছেন রোনালদো। কিন্তু সবগুলোই গ্রুপ পর্বে।
বিবিসি জানাচ্ছে, নকআউট পর্বে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সব মিলিয়ে খেলেছেন ৪৫৪ মিনিট। কিন্তু পুরো সময়টাই ছিলেন গোলবঞ্চিত।