রাজনীতিতেও আত্মঘাতী ব্রাজিল!

গতকাল রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল-বেলজিয়াম। শিরোপা প্রত্যাশী দলটির ভক্ত- সমর্থকরা রিও ডি জেনেইরোর রাস্তায় বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য জমায়েত হয়েছিল। বেশ হট্টগোল আর উত্তেজনার মধ্যে তারা সময় অতিবাহিত করলেও ফার্নানদিনহোর আত্মঘাতী গোলে জনতার ভিড়ে অবিশ্বাস্যভাবে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। হচ্ছেটা কী? আবারও কি কোনো অঘটন ঘটতে যাচ্ছে?
না, ব্রাজিলীয় বাসিন্দাদের আগের কোনো ম্যাচের কথা মনে পড়েনি। বিশ্বকাপ তারা সবসময়ই জিততে চায়। কিন্তু ব্রাজিলের রাজনীতির মাঠও গতকাল ম্যাচের মতো বেশ আত্মঘাতী। রাজনীতির মাঠে বিভিন্ন দলের বিভক্তিকরণ দেশটিকে নানান সমস্যায় জর্জরিত করেছে। বেশ জনপ্রিয় নেতারা দীর্ঘদিন যাবত জেলে বন্দি। উপরন্তু, সামনের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েও তাঁরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে।
রিও ডি জেনেইরো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বলেন, ‘ব্রাজিল আত্মঘাতী গোলের মাধ্যমে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে, যা আমাদের দেশের রাজনৈতিক বিপর্যয়কে ফুটিয়ে তুলেছে।’
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে সেমি ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারার পর দেশের ৪০ ভাগ ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে তাদের তেমন আগ্রহ না থাকলেও ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জেতা তাঁদের রাজনৈতিক জটিলতা অনেকাংশে ভুলিয়ে দিতে পারত বলে বিশ্বাস অনেক ব্রাজিলবাসীর।
জুলিয়া মায়ের নামে একজন ব্রাজিলের অধিবাসী বলেন, ‘এখন আমাদের অন্যান্য ইস্যুর দিকে নজর দেওয়া উচিত। দেশের অবস্থা ভালো না। স্বাস্থ্য খাত ও শিক্ষা খাতে এবার গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’
বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর ব্রাজিলীয়রা রাস্তায় জটলা করে এবং তারা বেশ ভাবলেষহীন হয়ে পড়ে। তারা ম্যাচের আলোচনা না করে বরং অতীতের ব্যর্থতার বিষয়ে আলোচনা করতে থাকে।