সেল্তার মাঠে বিধ্বস্ত বার্সা

২০০৭-০৮ থেকে ২০১১-১২ পর্যন্ত টানা পাঁচ মৌসুম স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগ লিগে খেলেছিল সেল্তা ভিগো। ২০১২-১৩ মৌসুমে লা লিগায় ফিরেছিল তারা। পরের মৌসুমে লুইস এনরিকের অধীনে ভালোই পারফরম্যান্স ছিল স্পেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ক্লাবটির। সেবার লিগে তারা নবম হয়েছিল। এবারের মৌসুমের শুরুতে সেই সেল্তা ভিগোর মাঠে বিধ্বস্ত এনরিকের বর্তমান ক্লাব বার্সেলোনা। টানা চার ম্যাচ জিতে দারুণভাবে লা লিগা শুরু করা গতবারের চ্যাম্পিয়নরা হার মেনেছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে।
বার্সেলোনা অঘটনের শিকার হলেও তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ স্বস্তির জয় পেয়েছে। করিম বেনজেমার দুই গোলে অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের মাঠ থেকে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরেছে স্পেনের সফলতম ক্লাবটি। এই ম্যাচেও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্যারিয়ারের ৫০০তম গোলের অপেক্ষা আরেকটু দীর্ঘ হলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর।
প্রতিপক্ষের মাঠে ২৬ মিনিটে নোলিতোর গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বার্সেলোনা। তবে গত মৌসুমের ট্রেবলজয়ীদের সবচেয়ে বড় মূল সর্বনাশ করেছেন ইয়াগো আসপাস। ৩০ মিনিটে বার্সার জালে বল জড়িয়ে স্বাগতিকদের ২-০ গোলে এগিয়ে দেন এই স্ট্রাইকার। ৫৬ মিনিটে আসপাসের দ্বিতীয় গোল জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেয় সেল্তার।
৮০ মিনিটে লিওনেল মেসির পাস থেকে নেইমার ব্যবধান কমালেও তাতে কোনো লাভ হয়নি বার্সার। তিন মিনিট পর আসপাসের বদলি হিসেবে নামা সুইডিশ স্ট্রাইকার জন গিদেত্তির গোল তারকাখচিত বার্সার বিপক্ষে বড় জয় এনে দেয় সেল্তা ভিগোকে।
গত সাত বছরে লা লিগায় এটাই বার্সার সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। ২০০৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছেও ৪-১ গোলে হেরেছিল তারা। স্পেনের সেরা লিগে টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর অবশেষে হারের যন্ত্রণায় বিদ্ধ কাতালানরা।
প্রথম চার ম্যাচ জিতে লিগের শীর্ষে ছিল বার্সেলোনা। তবে বুধবার রাতের অঘটনের পর লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে ওলটপালট। রিয়াল মাদ্রিদ, সেল্তা ভিগো আর ভিয়ারিয়ালের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট করে। তবে গোল গড়ে এগিয়ে থাকায় রিয়াল এখন লিগের শীর্ষে। বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদের ১২ পয়েন্ট হলেও গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় এনরিকের ‘শিষ্য’রা আছেন পঞ্চম স্থানে।