রিচার্ডসের রেকর্ড ভেঙে বিব্রত ম্যাককালাম
বহু ক্রিকেটপ্রেমীর মতো ব্রেন্ডন ম্যাককালামেরও প্রিয় ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং-কিংবদন্তি ম্যাককালামের ছেলেবেলারও আদর্শ। প্রায় তিন দশক ধরে টিকে থাকা রিচার্ডসের দ্রুততম টেস্ট শতকের রেকর্ড ভেঙে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক তাই যত না উচ্ছ্বসিত, তার চেয়ে বেশি বিব্রত।
১৯৮৬ সালের এপ্রিলে ঘরের মাঠ অ্যান্টিগায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫৬ বলে তিন অংক স্পর্শ করে দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়েছিলেন রিচার্ডস। ২০১৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবুধাবি টেস্টে রেকর্ডটা প্রায় ভেঙেই দিয়েছিলেন মিসবাহ-উল-হক। কিন্তু পাকিস্তানের অধিনায়কও ৫৬ বলেই শতক করায় অক্ষত থেকে যায় সেই রেকর্ড।
শনিবার ক্রাইস্টচার্চে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই জীবনের শেষ টেস্টে মাত্র ৫৪ বলে শতক করে ক্রিকেট-ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন ম্যাককালাম। প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনের বড় অংশ জুড়ে স্বাভাবিকভাবেই ছিল রেকর্ড প্রসঙ্গ। সাংবাদিকদের সামনে ম্যাককালাম অবশ্য নিজের বিব্রতভাব লুকিয়ে রাখতে পারেননি, ‘রেকর্ডটা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। আমি শুধু প্রতিটা বলে চার অথবা ছয় মারতে চেয়েছি। বেড়ে ওঠার সময় ভিভ ছিলেন আমার আদর্শ। তাই তাঁকে এক্ষেত্রে পেছনে ফেলতে পারা সত্যিই দারুণ ব্যাপার। তবে তিনি ছিলেন একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়, একজন অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। সত্যি বলতে কি, একটা ক্ষেত্রে হলেও তাঁকে পেরিয়ে গিয়ে কিছুটা হলেও বিব্রত বোধ করছি।’
৫৪ বলে শতক করা ম্যাককালাম শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ৭৯ বলে ১৪৫ রান করে। শুধু দ্রুততম শতক নয়, টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডও এখন তাঁর দখলে। রেকর্ডসমৃদ্ধ ইনিংসটা অবশ্য শেষ হয়ে যেতে পারত ব্যক্তিগত ৩৯ রানে। জেমস প্যাটিনসনের বলে গালিতে মিচেল মার্শের দর্শনীয় ক্যাচে পরিণত হয়েছিলেন ম্যাককালাম। কিন্তু বলটা ‘নো’ হওয়ায় বেঁচে যান কিউই অধিনায়ক। অভাবিতভাবে ‘জীবন’ ফিরে পাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘দারুণ স্বস্তিদায়ক ব্যাপার ছিল সেটা। ঘটনাটা কিছুটা হলেও আমার ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দিয়েছে। এরপর আমি অনেক নির্ভার হয়ে খেলতে পেরেছি।’