দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড়

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে পড়তে হয়েছিল ক্রিস গেইলের ঝড়ের মুখে। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশ ক্রিকেটাররা পড়েছ্নে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের ঝড়ের মুখে। হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, জেপি ডুমিনির ঝড়ো অর্ধশতকে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়েছে ২২৯ রানের বড় সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কা কেনিয়ার বিপক্ষে করেছিল ২৬০ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ডি কক শুরুটা করেছিলেন ধীরগতিতে। প্রথম চার বল খেলে নিয়েছিলেন মাত্র ১ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভার থেকেই ব্যাটে ঝড় তুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার। পরের দুই ওভারে চারটি চার ও তিনটি ছয় মেরে করেছেন ৩৫ রান। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আরেক ওপেনার হাশিম আমলাও তাণ্ডব চালিয়েছেন ইংল্যান্ডের বোলারদের ওপর। দ্বাদশ ওভারে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩১ বলে ৫৮ রান। দুই প্রোটিয়া ওপেনারই মেরেছেন সাতটি চার ও তিনটি ছয়। উদ্বোধনী জুটিতে তাঁরা যোগ করেছিলেন ৪৩ বলে ৯৬ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সও দুইটি ছয় মেরে দিয়েছিলেন ঝড় তোলার আভাস। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তিনি। নবম ওভারে আউট হয়েছেন ১৬ রান করে। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান। শেষপর্যায়ে ডুমিনির ২৮ বলে ৫৪ ও ডেভিড মিলারের ১২ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস দুটির সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২২৯ রান। পঞ্চম উইকেটে ডুমিনি ও মিলার গড়েছিলেন ২৭ বলে ৬০ রানের জুটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হেরে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড। আর এই ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছে প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ জয়ের মিশন।