জার্সিই ঠিক ছিল না স্যামি-গেইলদের!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্ণিল আসরের জন্য কত প্রস্তুতিই না নিয়েছিল দলগুলো। আইসিসির কোনো ইভেন্টে এবারই প্রথমবারের মতো দুটি করে জার্সি নিয়ে খেলতে এসেছিলেন প্রায় সব দেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু শেষপর্যন্ত যাদের হাতে শিরোপা উঠল, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের একটি জার্সিও ঠিকঠাক প্রস্তুত ছিল না। ভারতে পৌঁছানোর পর জার্সির পেছনে খেলোয়াড়ের নাম ও নম্বর লিখে নিতে হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কড়া সমালোচনা করে সম্প্রতি এসব কথা জানিয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো।
ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগ দিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল ক্রিকেটারদের। বেতন-ভাতা সংক্রান্ত বিবাদে জড়িয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বয়কটেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন ড্যারেন স্যামি-ক্রিস গেইলরা। শেষমুহূর্তে তড়িঘড়ি করে বিমানে ওঠার সময় জার্সিটাও ঠিকঠাক মতো পাননি তাঁরা।
শেষপর্যন্ত শিরোপা জয়ের হাসি হাসতে পারলেও উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের কী ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করে খেলতে হয়েছে, তা ছিল চিন্তারও বাইরে। আর এজন্য ক্রিকেট বোর্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন ব্রাভো। তাঁর মতে, উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড হচ্ছে সবচেয়ে অপেশাদার ক্রিকেট বোর্ড। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন ভারতে গেছি, তখন জার্সিতে আমাদের নামটাও লেখা হয়নি। ভারতে গিয়ে নাম ও নম্বর প্রিন্ট করে নিতে হয়েছে দলের ম্যানেজারকে। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা খেলেছি ক্যাপ ছাড়া।’
৩ এপ্রিল ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর অধিনায়ক স্যামিও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তাদের ক্রিকেট বোর্ডের। সব জায়গা থেকে অভিনন্দন জানানো হলেও বোর্ডের পক্ষ থেকে কেউ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেনি বলে আক্ষেপ করেছিলেন স্যামি। ব্রাভোও সমর্থন দিয়েছেন অধিনায়ককে। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ডেভিড ক্যামেরনের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘সভাপতি খুবই অপরিপক্ব ও ছোট মনের মানুষ। তিনি খুবই উদ্ধত। স্যামি হৃদয় থেকে কথা বলে। অনেকেই খেলোয়াড়দেরই আক্রমণ করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রতি আমাদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু তারা এটা বোঝে না যে, চুক্তি নিয়ে একটা ঝামেলা আমাদের সবসময়ই ছিল। আর এ ব্যাপারে বোর্ড আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করে না। তারা কথাবার্তা বলে প্লেয়ার্স ইউনিয়নের (ডব্লিউআইপিএ) সঙ্গে। কিন্তু ভারতে আমরা যে ১৫ জন খেলোয়াড় এসেছি, তাদের মধ্যে প্লেয়ার্স ইউনিয়সের সদস্য মাত্র একজন।’
এত বাধা পেরিয়েও শেষপর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররাই জিতেছেন বিশ্বকাপ শিরোপা। প্রথম দল হিসেবে দুটি টি-টোয়েন্টি শিরোপা জয়ের অনন্য রেকর্ডও গড়েছেন স্যামি-ব্রাভোরা।