বিশ্বকাপের পরই অবসর আফ্রিদির?
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/23/photo-1458736106.jpg)
টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন অনেক আগে। ২০১০ সালে। গত বছর বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বলেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। পরিকল্পনা করেছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা আরো কিছুদিন খেলে যাওয়ার। কিন্তু এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে আফ্রিদির। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিই যে তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে, তা নিজেই বলেছেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন, তা আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন ৩৬ বছর বয়সী আফ্রিদি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে অবশ্য বলেছিলেন যে, অবসর নেবেন কি না, তা নতুন করে চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি নিজে ও তাঁর দল যেমন পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তাতে কার্যত শেষই হয়ে গেছে আফ্রিদির ক্যারিয়ার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে হারের পর আফ্রিদি বলেছেন, ‘(অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটাই) হয়তো আমার শেষ ম্যাচ।’ বিশ্বকাপের পরই যে আফ্রিদি অবসর নেবেন, এ ব্যাপারে একটা সমঝোতাও হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটাই যদি আফ্রিদির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় তাহলে একটুর জন্য একটা মাইলফলক স্পর্শ করতে পারবেন না পাকিস্তানের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে আফ্রিদির ৯৮তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর মাত্র দুটি ম্যাচ খেলতে পারলেই প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করতে পারতেন আফ্রিদি।
বল হাতে অবশ্য একটি মাইলফলক স্পর্শের হাতছানি এখনো আছে আফ্রিদির সামনে। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার জন্য আফ্রিদির প্রয়োজন আর মাত্র তিনটি উইকেট। ব্যাট হাতে তিনি করেছেন এক হাজার ৩৯১ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য আফ্রিদি নিজেকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে তিনিই এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। ৩৩ ম্যাচ খেলে আফ্রিদি নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। ৩১ ম্যাচ খেলে মালিঙ্গা শিকার করেছিলেন ৩৮ উইকেট।