ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে আফগানিস্তানের চমক
সব ম্যাচ জিতে দাপুটে ভঙ্গিতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছিল আফগানিস্তান। সুপার টেন পর্বেও প্রতিটি ম্যাচেই ভালো নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলগুলোকেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল। আর আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো হেরেই গেল ৬ রানের ব্যবধানে। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটা জিতে চমক দেখিয়েছে আফগানিস্তান।
শুরুতে ফিল্ডিং করে আফগানিস্তানকে মাত্র ১২৩ রানেই আটকে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দারুণ ফর্মে থাকা ক্যারিবীয়দের জয় নিশ্চিত বলেই হয়তো ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু বল হাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে দিয়েছে ১১৭ রানে। পেয়েছে ৬ রানের স্মরণীয় এক জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে এটিই আফগানিস্তানের প্রথম জয়। এর আগের তিনটি আসরের চূড়ান্ত পর্বে একটিও জয় পায়নি আফগানরা।
দুই আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানের দারুণ বোলিংয়ের সামনে বড় কোনো ইনিংসই খেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ ২৮ রান এসেছে ডোয়াইন ব্রাভোর ব্যাট থেকে। ২২ রান করেছেন ওপেনার জনসন চার্লস। ১৮ রান করেছেন দিনেশ রামদিন। আফগানিস্তানের পক্ষে চার ওভার বল করে ২৬ রানের বিনিময়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নবী ও রশিদ।
এর আগে ব্যাট হাতেও আফগানিস্তান লিখেছিল ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ এক গল্প। প্রথম ১২ ওভারে মাত্র ৫৭ রান যোগ করতেই আফগানিস্তান হারিয়েছিল পাঁচটি উইকেট। শেষপর্যায়ে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ৪০ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে স্কোরবোর্ডে ১২৩ রান জমা করেছিল আফগানিস্তান। চাপের মুখে দারুণ এই ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে জাদরানের হাতে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের ফলে নিউজিল্যান্ডের মতো অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে এক নম্বর গ্রুপ থেকে শীর্ষস্থান দখল করেই শেষ চারে পা রেখেছে ক্যারিবীয়রা। গড় রান রেটের হিসাবে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলেছে ২০১২ সালের শিরোপাজয়ীরা।