সেমিফাইনালে কে খেলবে কার বিপক্ষে
শুরু হয়েছিল ১৬টি দল নিয়ে। বাছাইপর্ব শেষে বিদায় নিয়েছিল ছয়টি দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০টি দলের সুপার টেনের লড়াইও চলে এসেছে শেষপর্যায়ে। গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আরো ছয়টি দলের। বাকি চারটি দল এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ের জন্য।
সুপার টেনের এক নম্বর গ্রুপ থেকে শীর্ষস্থান দখল করে সেমিফাইনালে অংশ নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইংল্যান্ড। আর দুই নম্বর গ্রুপ থেকে সব ম্যাচ জিতে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে পা রেখেছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় স্থানে আছে স্বাগতিক ভারত। এই চারটি দলই খেলবে এবারের সেমিফাইনালে। ৩০ মার্চ দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। ৩১ মার্চ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত। দুইটি ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো দুইবার শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি কোনো দল। এবার সেই সুযোগ থাকছে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক ভারতের সামনে। দারুণ ফর্মে থাকা নিউজিল্যান্ডের কারণে অবশ্য হতাশ হতে পারে সেমিফাইনালে যাওয়া এই তিনটি দল। টানা চারটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে অংশ নেওয়া নিউজিল্যান্ড যদি এবার শিরোপা জিততে পারে তাহলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট পাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
অভিজ্ঞতার বিচারে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে তিনবার শেষ চারের লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে ক্যারিবীয়রা। ২০০৯, ২০১২ ও ২০১৪ সালে। এর মধ্যে ২০১২ সালে শিরোপা জয়ের অন্তিম হাসিও হেসেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। ভারত এর আগে সেমিফাইনাল খেলেছে দুইবার। ২০০৭ ও ২০১৪ সালে। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাও উঠেছিল ভারতের হাতে। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল খেলেছে একবার করে। ২০০৭ সালে সেমিফাইনালে যেতে পারলেও পাকিস্তানের কাছে হেরে আর ফাইনালে যাওয়া হয়নি নিউজিল্যান্ডের। আর ২০১০ সালে সেমিফাইনালের বাধা পেরিয়ে শিরোপা জয়ের স্বাদও পেয়েছিল ইংল্যান্ড।