ফাইনালে নৃত্য দিয়ে বিশ্বকে গাঁথতে চায় কলকাতা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যাট-বলের বাইরে সাত মিনিটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে গোটা বিশ্বকে এক সুতোয় গাঁথতে চায় আয়োজক কলকাতা। ভারত আর বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবার গান নয়, বেছে নেওয়া হয়েছে নৃত্যকে, যার কোরিওগ্রাফি করছেন তনুশ্রী শঙ্কর আর মূল ভাবনায় আছেন বিখ্যাত তবলাবাদক বিক্রম ঘোষ।
ইডেনের পশ্চিম গেট দিয়ে দৌড়ে আসছে শখানেকের মানুষের একটি দল। এর পর ক্লাব হাউসমুখী হয়ে তাঁরা প্রদর্শন করছেন নৃত্য। ওড়িশি, কত্থক, ভারতনাট্যম, ছাউ, মণিপুরী নৃত্য নেচে উঠছেন একঝাঁক শিল্পী। তাঁদের পরিচালনার দায়িত্বে আছেন নৃত্যশিল্পী তনুশী শঙ্কর। তাঁদের সঙ্গে আছেন জয়া, শর্মিলা বিশ্বাস, প্রীতি ও মধুমিতা রায়ের মতো বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী। ফাইনালের আগে ইডেন গার্ডেন্সে চলছে তাঁদের নাচের রিহার্সেল। নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র দিয়ে ইডেনের বুকে এক অপরূপ দৃশ্য তুলে ধরতেই তাঁদের যত পরিশ্রম।
কোরিওগ্রাফার তনুশী শঙ্কর বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের ভেতর এতসব নৃত্যের মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বকে একই সুতোয় গাঁথতে চাই। চেষ্টা করছি, যতটা ভালো করা যায়; সময় তো মাত্র সাত-আট মিনিট।’
ফাইনালে জায়গা হয়নি ভারতের, কিন্তু টি-টোয়েন্টির উত্তেজনায় ঢাক-মাদল, ডামসা আর ড্রামের বিটে ক্যালিপসো নৃত্যে নেচে উঠবেন গেইলরা। ক্রিকেটের সেই উত্তেজনাকে নিজের ভাষায় এনে সুরের ছন্দে নাচাতে চান পরিচালক বিক্রম ঘোষ সবাইকে। তাই তো ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর আইসিসি থেকে সাত মিনিট সময় চেয়ে নেওয়া।
তনুশী শঙ্কর আরো বলেন, ‘প্রায় ৯০ জন শিল্পী অংশ নিচ্ছেন এই আয়োজনে। এত অল্প সময়ের ভেতর এ রকম একটি থিম নিয়ে কাজ করাটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা চেষ্টা করছি সফল হতে, বাকিটা ভগবান জানেন।’
ফাইনালের মতো এত বড় মঞ্চে গান বাদ দিয়ে যখন নৃত্যকে বেছে নেওয়া, সেখানে স্পেশিয়ালিটি তো কিছু থাকছেই।
দেখুন ভিডিও প্রতিবেদন :