বাংলাদেশ সফরের পাকিস্তান দলে আজমল

অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেননি সাঈদ আজমল। তবে অ্যাকশন শুধরে জাতীয় দলে ফিরেছেন গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের সাফল্যের অন্যতম রূপকার এই অফস্পিনার। শুক্রবার বাংলাদেশ সফরের জন্য ঘোষিত তিনটি দলেই আজমলকে রেখেছে পাকিস্তান। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজও। আজমলের মতো হাফিজও আছেন তিন দলেই। দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশে আসার কথা পাকিস্তানের।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জেরে দলে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। উমর আকমল কোনো দলেই সুযোগ পাননি। আহমেদ শেহজাদকে রাখা হয়েছে শুধু টি-টোয়েন্টি দলে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনিস খান ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়লেও টেস্ট দলে জায়গা ধরে রেখেছেন। ওপেনার নাসির জামশেদ অবশ্য কোনো দলেই নেই।
মোহাম্মদ ইরফানও নেই, তবে এই দীর্ঘদেহী বাঁহাতি পেসারের বাদ পড়ার কারণ ইনজুরি। অবশ্য চোট থেকে সেরে ওঠা আরেক বাঁহাতি পেসার জুনায়েদ খানকে ফিরে পেয়েছে পাকিস্তান। সামি আসলাম, বাবর আজম, মুখতার আহমেদ আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো নবাগতদেরও বাংলাদেশে নিয়ে আসছে তারা।
টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনজন। বিশ্বকাপ শেষে ওয়ানডেকে বিদায় জানিয়েছেন মিসবাহ-উল-হক। ওয়ানডে নেতৃত্বে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েছেন আজহার আলী। টেস্ট অধিনায়ক অবশ্য মিসবাহই থাকছেন। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মিসবাহর মতো ওয়ানডেকে বিদায় জানানো শহীদ আফ্রিদি।
বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তানের টেস্ট দল : মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, সামি আসলাম, আসাদ শফিক, আজহার আলী, ইউনিস খান, হারিস সোহেল, সাঈদ আজমল, ইয়াসির শাহ, জুলফিকার বাবর, সরফরাজ আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, জুনায়েদ খান, সোহেল খান ও রাহাত আলী।
ওয়ানডে দল : আজহার আলী (অধিনায়ক), সামি আসলাম, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, আসাদ শফিক, ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস সোহেল, শোয়েব মাকসুদ, সাঈদ আজমল, ইয়াসির শাহ, ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলী, এহসান আদিল ও সোহেল খান।
টি-টোয়েন্টি দল : শহীদ আফ্রিদি (অধিনায়ক), আহমেদ শেহজাদ, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, মুখতার আহমেদ, শোয়েব মাকসুদ, হারিস সোহেল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাঈদ আজমল, সাদ নাসিম, সোহেল তানভীর, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল খান, উমর গুল ও জুনায়েদ খান।