এবার ঘরের মাঠে বায়ার্নের হতাশা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/04/photo-1423031599.jpg)
ছুটি কাটিয়ে চাঙ্গা হয়ে ‘কাজে’ ফেরাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের অবস্থা ঠিক উল্টো। শীতকালীন ছুটি শেষে বুন্দেসলিগায় ফেরা জার্মানির সেরা ক্লাবটির দুর্দশা চলছেই। গত সপ্তাহে ভল্ফসবুর্গের মাঠে বিধ্বস্ত হয়েছিল ৪-১ গোলে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে-না-উঠতেই মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে শালকের সঙ্গে কোনোরকমে ড্র করেছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্নের এই হোঁচটের পেছনে ডিফেন্ডার জেরম বোয়াটেংয়ের দায় কম নয়। ১৭ মিনিটে মিডফিল্ডার সিডনি স্যামকে বক্সের মধ্যে গুরুতর ফাউল করে প্রতিপক্ষকে শুধু পেনাল্টিই দেননি, লাল কার্ড দেখে বেরিয়েও গেছেন। বায়ার্নের সৌভাগ্য, ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের দুর্বল শট ঠেকাতে সমস্যা হয়নি এ সময়ের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের। তবে একজন কম থাকায় খেলায় তেমন ধার ছিল না জার্মান লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬৭ মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন আরিয়েন রোবেন। কর্নার থেকে হেড করে শালকের জালে বল জড়িয়ে দেন এই ডাচ ফরোয়ার্ড। তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি স্বাগতিক দল। চার মিনিট পরই খেলায় সমতা নিয়ে আসেন শালকের ডিফেন্ডার বেনেডিক্ট হুভেডেস। শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।
আবার পয়েন্ট নষ্ট করলেও অখুশি নন পেপ গার্দিওলা। খেলা শেষে বায়ার্নের স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘আমি খুবই সন্তুষ্ট। অবশ্যই আমরা তিন পয়েন্ট চেয়েছিলাম। কিন্তু গত সপ্তাহের চেয়ে আমাদের পারফরম্যান্সের অনেক উন্নতি হয়েছে।’
বায়ার্নের জন্য সুখবর, শিরোপা লড়াইয়ে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভল্ফসবুর্গও জিততে পারেনি। আইনট্রাখ্ট ফ্রাঙ্কফুর্টের সঙ্গে বুন্দেসলিগার ২০০৮-০৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচের ফলও একই, ১-১। তাই লিগের শীর্ষ দুই ক্লাবের মধ্যে ব্যবধান আগের মতোই আছে। ১৯টি করে ম্যাচ খেলে বায়ার্নের ৪৬ আর ভল্ফসবুর্গের ৩৮ পয়েন্ট।