‘হোয়াইটওয়াশ’ করতে চাই ২৫১ রান

অধিনায়ক আজহার আলীর প্রথম ওয়ানডে শতক আর হারিস সোহেলের অর্ধশতক বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল পাকিস্তানকে। তবে বোলারদের নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়িয়ে লক্ষ্যটা বড় হতে দেয়নি বাংলাদেশ। বুধবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৪৯ ওভারে ২৫০ রানে অলআউট হয়ে গেছে অতিথিরা।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৯১ রান উপহার দেন আজহার আলী ও অভিষিক্ত সামি আসলাম। দশম ওভারে আরাফাত সানির বলে সামির ক্যাচের জোরালো আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। লেগ স্লিপে দারুণ ক্যাচ নিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু রিভিউ নেওয়ার পরও সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ।
১৮তম ওভারে অবশ্য হতাশ হতে হয়নি মাশরাফির দলকে। নাসির হোসেনের করা সেই ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সামি। ৪৫ রান এসেছে এই বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে।
২২তম ওভারে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন আরাফাত সানি, মোহাম্মদ হাফিজকে বোল্ড করে। আগের দুই ম্যাচে চার ও শূন্য রানে আউট হওয়া এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আবারও ব্যর্থ। বল করার অধিকার ফিরে পাওয়া হাফিজ এবার করেছেন চার রান।urgentPhoto
তৃতীয় উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন আজহার ও হারিস। কিন্তু ৩৯ ও ৪০তম ওভারে দুজনকে ফিরিয়ে দেন সাকিব ও মাশরাফি। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে শতক করার পর আজহার বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
সাকিবের বলে আউট হয়েছেন ১০১ রান করে। পরের ওভারে ৫২ রান করা হারিস সোহেলকেও ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের ইনিংস। ৪৭ রানে শেষ আট উইকেট হারানো অতিথিরা কোনো রকমে আড়াইশ রান করেছে।
দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব, মাশরাফি, আরাফাত সানি ও রুবেল হোসেন।
টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলা মাশরাফির দলের লক্ষ্য প্রতিপক্ষকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করা। অন্যদিকে পাকিস্তান সান্ত্বনার জয়ের জন্য মরিয়া।
আগের ম্যাচটি ছিল মাশরাফির ১৫০তম ওয়ানডে। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ দলে কোনো পরিবর্তন নেই। তবে চাপের মুখে থাকা পাকিস্তান দলে তিনটি পরিবর্তন। রাহাত আলী, সরফরাজ আহমেদ ও সাঈদ আজমলের জায়গায় উমর গুল, জুলফিকার বাবর ও সামি আসলামকে নিয়েছে অতিথিরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ৪৯ ওভারে ২৫০ (আজহার ১০১, সামি ৪৫, হাফিজ ৪, হারিস ৫২, রিজওয়ান ৪, ফাওয়াদ ৪, সাদ ২২, ওয়াহাব ৭, গুল ০, বাবর ১*, জুনায়েদ ৪; সাকিব ২/৩৪, সানি ২/৪৩, রুবেল ২/৪৩, মাশরাফি ২/৪৪, নাসির ১/৩৭)