জোড়া শতকে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

খুলনা টেস্ট এনে দিয়েছিল শান্তির পরশ। তবে মিরপুরে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। দিনের শুরু আর শেষে উইকেট পেলেও দিনটা আসলে পাকিস্তানের। আজহার আলী আর ইউনিস খানের জোড়া শতকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে অতিথিরা। প্রথম দিনশেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৩২৩ রান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দিনের চতুর্থ ওভারেই মোহাম্মদ শহীদের সৌজন্যে সাফল্য ধরা দেয়। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা এই ডানহাতি পেসারের দারুণ এক বলে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ হাফিজ। খুলনা টেস্টে দ্বিশতক করা হাফিজ এবার মাত্র ৮ রান করতে পেরেছেন।
৯ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন আজহার ও সামি আসলাম। ২৩তম ওভারে সামিকে আউট করে ৪৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। শাহাদাত হোসেনকে ক্যাচ দেওয়া সামির অবদান ১৯ রান। প্রথম সেশনের শেষ ওভারে আজহারও আউট পারতেন। কিন্তু সাকিব আল হাসানের বলে আজহারের ক্যাচ শর্ট লেগে তালুবন্দি করতে পারেননি মুমিনুল হক।
তৃতীয় উইকেটে আজহার ও ইউনিসের ২৫০ রানের জুটি পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দিয়েছে। আজহার ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও ইউনিস রান করেছেন দ্রুতগতিতে। ২৯তম টেস্ট শতকে পৌঁছাতে ১৪২ বল খেলতে হয়েছে ইউনিসকে। পাকিস্তানের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ১৯৫ বলে খেলা ১৪৮ রানের চমৎকার ইনিংস গড়ে উঠেছে ১১টি চার ও তিনটি ছক্কায়। ৮৫তম ওভারে শুভাগত হোমের ক্যাচ বানিয়ে ইউনিসকে ফেরানোর কৃতিত্ব শহীদের।
তবে প্রথম দিনে আজহারকে আউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। অষ্টম টেস্ট শতক করে ১২৭ রানে অপরাজিত আছেন আজহার। ২৫৮ বলের ইনিংসটিতে চারের সংখ্যা ১৩টি। দিনশেষে অপরাজিত থাকা অন্য ব্যাটসম্যান মিসবাহ-উল-হক। পাকিস্তান অধিনায়কের রান ৯।
একটি পরিবর্তন নিয়ে মিরপুর টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। চোটের কারণে দল থেকে ছিটকেপড়া রুবেল হোসেনের জায়গা নিয়েছেন আরেক পেসার শাহাদাত হোসেন। যদিও হাঁটুর চোটের কারণে এই ম্যাচে আর খেলতে পারবেন না শাহাদাত। পাকিস্তান দলেও একটি পরিবর্তন। বাঁ-হাতি স্পিনার জুলফিকার বাবরের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন ডানহাতি পেসার ইমরান খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ৩২৩/৩ (হাফিজ ৮, সামি ১৯, আজহার ১২৭*, ইউনিস ১৪৮, মিসবাহ ৯*; শহীদ ২/৪৩, তাইজুল ১/১০২)