নেইমার-এমবাপ্পেকেও তিক্ততা সইতে হয়েছে : মেসি

লিওনেল মেসির পিএসজিতে যাওয়ার খবরে একদিকে বার্সেলোনায় বিষাদ, অন্যদিকে প্যারিসে উৎসব। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে ২০২১ সালের আগস্টে ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিতে পাড়ি জমান মেসি। এতটা রাজসিক অভ্যর্থনা পাবেন মেসি, হয়তো তিনি নিজেও ভাবেননি। অথচ, বছর দুয়েকের ব্যবধানে সেই মেসিই নিয়মিত শিকার হতেন গ্যালারি থেকে আসা পিএসজি সমর্থকদের দুয়োধ্বনির।
এমন নয়, পিএসজির জার্সিতে একেবারে খারাপ খেলেছেন মেসি। দুই মৌসুমে ৭৫ ম্যাচে ৩২ গোল আর ৩০ অ্যাসিস্ট করলেও ভক্তদের মন ভরেনি। দুই মৌসুমেই লিগ শিরোপা জিতলেও ক্ষুদে জাদুকরকে আনা যে উদ্দেশ্যে, সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসির খেলা দুই মৌসুমেই পিএসজি বাদ পড়েছে শেষ ষোলো থেকে।
পিএসজি ছেড়ে মেসি যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। গতকাল শনিবার (২৪ জুন) ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকার ৩৬তম জন্মদিন। সে উপলক্ষে মেসির একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে বিইন স্পোর্টস ইউএসএ। গতকাল নিজেদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এটি প্রকাশ করে তারা। সেখানে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার কারণ ও শেষের তিক্ততা নিয়ে কথা বলেন মেসি।
‘মেসি, প্যারিস অ্যান্ড প্যারাডাইজ’—শিরোনামের সেই সাক্ষাৎকারের শুরুতে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি, কারণ আমি ক্লাবটিকে (পিএসজি) পছন্দ করি। এখানে আমার অনেক বন্ধু এবং জাতীয় দল ও ক্লাবের সতীর্থ আছে, যাদের সঙ্গে আমি খেলে এসেছি। অন্য কোথাও যাওয়ার চেয়ে এখানে আসাটা ভালো মনে হয়েছে। ভেবেছি, এখানে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব।’
কিন্তু, পিএসজিতে আসার পর দেখলেন উল্টো চিত্র। মেসি বলেন, ‘মানিয়ে নেওয়াটা খুব কষ্টসাধ্য ছিল। এমনকি, আমি যতটা ভেবেছিলাম, তারচেয়েও বেশি। পরিবর্তন মেনে নেওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। নতুন ক্লাব, নতুন সতীর্থ, নতুন খেলার ধরণ, নতুন শহর—সবমিলিয়ে ভীষণ দুঃসহ ছিল।’
তবু, দুই মৌসুম কাটিয়েছেন পিএসজিতে। সতীর্থ হিসেবে নেইমারের মতো বন্ধু এবং এমবাপ্পের মতো তরুণকে পাশে পেয়েছেন। এমন বিধ্বংসী আক্রমণভাগ নিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্যর্থ হয় পিএসজি। সেটিই মেনে নিতে পারেনি ভক্তদের একটি অংশ। মেসিকে তাই নিয়মিতই শুনতে হতো ভর্ৎসনা। কেবল মেসি নয়, এমবাপ্পে ও নেইমারকেও এমন বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে জানান মেসি।
সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়ে মেসি বলেন, ‘পিএসজিতে আসার সময় আমাকে যেভাবে গ্রহণ করে নেওয়া হয়েছিল, মানুষ এখনও সেভাবেই ভালোবাসে। ভক্তদের একটা উগ্র অংশ আমাকে পছন্দ করে না। তারা আমাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। সবসময় বাজে কটুক্তি করত। শুধু আমার বেলায় নয়, নেইমার ও এমবাপ্পের বেলায়ও তারা উগ্রতা দেখিয়েছে।’