বাবা আর নেই, স্পেনকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে শুনলেন কারমোনা
ম্যাচের বয়স তখন ২৯ মিনিট। যে মাঝমাঠ নির্ভর ফুটবলে ইংল্যান্ড মাতিয়েছে গোটা বিশ্বকাপ, সেই মাঝমাঠে বলের নিয়ন্ত্রণ হারায় তারা। বল পেয়ে দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক সাজায় স্পেন। গতির ঝড়ে ইংলিশ রক্ষণকে ছিটকে দিয়ে বল খুঁজে নেয় স্প্যানিশ অধিনায়ক ওলগা কারমোনার পা। বামপ্রান্ত থেকে আড়াআড়ি শটে ওলগা পরাস্ত করেন পুরো আসরে দেয়াল হয়ে থাকা ইংলিশ গোলরক্ষক ম্যারি আর্পসকে। তাতেই হয়ে যায় ইতিহাস। ওলগা কারমোনার একমাত্র গোলেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্প্যানিশ নারী দল।
স্পেনকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করে পুরো দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছেন ওলগা। আনন্দের ঝড় বইয়ে দিয়েছেন নিজেদের ড্রেসিং রুমেও। কিন্তু, এমন খুশির দিনেই অধিনায়ক ওলগাকে শুনতে হলো চরম দুঃখের খবর। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ শেষে বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছেন স্প্যানিশ তারকা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
গতকাল রোববার (২০ আগস্ট) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল শেষে কারমোনা জানতে পারেন তার বাবা আর নেই। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ট্রফি নিয়ে উদ্যাপন শেষে মৃত্যু সংবাদটি পান ওলগা। আরএফইএফের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, কারমোনার বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার সাথে লড়াই করছিলেন। তিনি শুক্রবার মারা যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া আরএফইএফের বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে বলা হয়, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালের পর কারমোনা দুঃখের খবরটি জানতে পারেন। আমরা ওলগা ও তাঁর পরিবারের এই বেদনাদায়ক সময়ে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। ওলগা, আমরা তোমায় ভালোবাসি। তুমিই স্প্যানিশ ফুটবলের ইতিহাস।’
বিশ্বকাপ জয়ের নিজেদের খেলোয়াড়দের জার্সিতে স্টার যুক্ত করে স্পেন। নিজের বাবাকে সেই স্টার হিসেবে উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন বার্তা দেন কারমোনা। স্প্যানিশ তারকা লিখেছেন, ‘এটা না জেনেই, খেলা শুরু হওয়ার আগেই আমার একটা তারা ছিল। আমি জানি, তুমি আমাকে অনন্য কিছু অর্জন করার শক্তি দিয়েছ। আমি জানি, আজ রাতে তুমি আমাকে দেখে গর্বিত হচ্ছ। শান্তিতে ঘুমাও, বাবা।’