‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে কান্না বন্ধ হোক’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/04/30/brun.jpg)
এবারের আইপিএলের শুরু থেকে রান বন্যার জোয়ার। এই জোয়ারে বড় ভূমিকা রাখছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার—এর নিয়মটি। কারণ দলগুলো চাইলেই একজন বদলি হিসেবে বাড়তি ব্যাটার খেলাতে পারছে। এই নিয়ম নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে বেশ। কিন্তু, সমালোচনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলার বরুণ চক্রবর্তী।
গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) ইডেনে দিল্লি ক্যাপিটালসকে সাত উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা। আর এই জয়ে ম্যাচের নায়ক বরুণ। যিনি মাত্র ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। এই ম্যাচ জিতেই এই নিয়মটি নিয়ে কান্না করা বন্ধ করতে বললেন বরুণ।
ম্যাচ শেষে বরুণ বলেন, ‘আইপিএল বাকি ক্রিকেটের থেকে আলাদা। এটা মেনে নিতে হবে। গত মৌসুমেও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম ছিল। এ বারে সেই নিয়মকে বেশি ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছে দলগুলো। ব্যাটাররা শুরু থেকে মারছে। তা নিয়ে বোলারদের কান্নার কিছু নেই। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
যদিও, এই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে অনেকেই বিরক্ত। এমনকি ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও এই নিয়মটার বিরুদ্ধে। কদিন আগে তিনি বলেছেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটা আমার খুব একটা পছন্দ নয়। এর ফলে অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন কমে গিয়েছে। ক্রিকেটটা এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ক্রিকেটটা নষ্ট হচ্ছে। দর্শকের জন্য যদিও খুব উপভোগ্য হচ্ছে ব্যাপারটা।’
রোহিতের মতে এই নিয়মের ফলে ভারতীয় অলরাউন্ডারেরা সুযোগ পাচ্ছেন না। ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো ক্রিকেটারকে দলে নেওয়া হচ্ছে না। শিভাম দুবে ব্যাট হাতে রান করলেও বল করছেন না। অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের দিক থেকে দেখতে গেলে ওয়াশিংটন, দুবেরা বল করছে না। এটা দলের জন্য ভাল দিক নয়। কী করব জানি না। দলে ১২ জন ক্রিকেটার রয়েছে। খেলার পরিস্থিতি বুঝে এক জনকে দলে আনা হচ্ছে। এটা দেখতে খুব ভালো লাগছে। কিন্তু, এই বাড়তি ক্রিকেটার দলে আসার পর থেকে সাত বা আট নম্বরের ব্যাটার সুযোগ কম পাচ্ছেন।’
শুধু রোহিত নন, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্টও এই নিয়মের বিপক্ষে। গিলির মতে, এই নিয়মটা ক্রিকেটের স্বার্থ দেখে নির্মাণ করা হয়নি। অসি তারকা বলেছেন, ‘এই নিয়মটা দর্শকের জন্য। ক্রিকেটের স্বার্থ দেখে এই নিয়ম তৈরি করা হয়নি। আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনিতেই অনেক বিনোদন রয়েছে। সেখানে কোনও বাড়তি মাসালার প্রয়োজন ছিল না।’