রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের মান বাঁচানোর লড়াই
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/23/usa-vs-bd.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দারুন প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপ অভিযানে নামবে বাংলাদেশ। ভক্তদের এমন আশায় গুড়েবালি! প্রবাসী ক্রিকেটারদের নিয়েই ২২ গজে লড়াইয়ে নাজমুল শান্তর দলকে স্রেফ উড়িয়ে দিল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপের আগে শান্ত-লিটনদের এমন পারফরম্যান্স অপ্রত্যাশিত তো বটেই অগ্রহণযোগ্যও।
প্রথম ম্যাচের ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই মান বাঁচানোর লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লড়বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র। দুই মেরুতে থাকা দুই দলের চাওয়া আজ ভিন্ন। বাংলাদেশের লড়াই সিরিজ বাঁচানোর। যুক্তরাষ্ট্রের সিরিজ নিশ্চিতের।
এ সিরিজ দিয়েই মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা একাদশ বাছাইয়ের চেষ্টায় বাংলাদেশ। হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সের উইকেট সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারণা নেই ক্রিকেটারদের। যে কারণে প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে কিছু বুঝে উঠার আগে হেরে বসে তারা।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। শান্ত-লিটনরাও যে যার মতো সময় কাটিয়েছেন। এই ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ ব্যাটারদের ছন্দহীনতা। গত ম্যাচে তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি সত্ত্বেও ১৫৩ রানে থামে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ের মতো দলগুলোর বিপক্ষে খেলেও রানে ফিরতে পারছেন না ব্যাটাররা। যা বিশ্বকাপের আগে বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলেছে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে।
এর ওপর গত ম্যাচে মুস্তাফিজ-শরিফুলরা পারেননি আস্থার প্রতিদান দিতে। শেষ চার ওভারে তাদের ছন্নছাড়া বোলিংয়েই ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। তাই এই ম্যাচে ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদেরও ছন্দে থাকাটা জরুরি। প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র হলেও তাদের সামর্থ্য যে কতটা, তা বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রায় দু’শ বছর আগে ক্রিকেটের চর্চা শুরু হলেও কোনো দিনই ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হয়ে উঠতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। অভিবাসীদের হাত ধরে দেশটিতে ক্রিকেটের যে নবযাত্রা, তারও খুব একটা প্রসার ঘটেনি। আইসিসি ক্রিকেটের বিশ্বায়নের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশকে যুক্ত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ দিয়ে।
আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থা লক্ষ্য স্থির করেছে ২০৩০ সালের মধ্যে আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ পাওয়ার। সেই লক্ষ্য পূরণে তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় তুলে আনার পাশাপাশি আমেরিকান পাসপোর্টযুক্ত বিদেশি খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ করে দেওয়া দেশটির সাফল্যের অন্যতম কারণ। পূর্ণ সদস্য না হওয়ায় কানাডা, বারমুডা, নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের মতো দলগুলোর বিপক্ষেই বেশিরভাগ ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের তারকা হারমীত বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেয়নি বাংলাদেশ। পরাজয়ের পেছনে এটিকেই বড় কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন ভারত থেকে যাওয়া এই তারকা। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই স্বাগতিকদের শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবেই বিবেচনা করবে। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে তাই অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ। সেইসব চ্যালেঞ্জ উৎড়ে কি নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারবে শান্তর দল? তা তো সময়ই বলে দেবে।