বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

এক সপ্তাহ আগেও বাংলাদেশি ক্রিকেট দলের অবস্থা ছিল বেহাল। এই দল নিয়ে বিশ্বকাপে কতটা কী করবে বাংলাদেশ, তা নিয়ে ছিল সংশয়। সপ্তাহের ব্যবধানে পরিস্থিতি বদলেছে। বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন বুনছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে যাওয়ার। পথ সুগম করতে প্রয়োজন আরেকটি জয়। যাতে সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বহুগুণ। সেটি করার লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরেক স্বাগতিক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাড়ি জমিয়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
গ্রুপপর্বের তৃতীয় ম্যাচে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের আর্নোস ভ্যালি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
প্রথম দুই ম্যাচ শেষে একটি করে জয় ও পরাজয় বাংলাদেশের ঝুলিতে। দুই ম্যাচেই বোলাররা পিচের সুবিধা নিয়ে প্রতিপক্ষকে আটকাতে পেরেছেন। ব্যাটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দিলে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম ম্যাচটি বেশ কষ্টে জিতে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে যথারীতি ব্যাটিং অর্ডার নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের ব্যবধান চার রানের।
পরপর দুই ম্যাচেই মন্দের ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে যেখান থেকে বের হতে হবে দলকে। ক্রিকেটে বড় নাম না হলেও টি-টোয়েন্টিতে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের তিক্ততা আছে বাংলাদেশের। তাছাড়া, মার্কিন পিচগুলোর মতো মন্থর নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ। এখানে রান ওঠে যথেষ্ট। ম্যাচের আগে অবশ্য ভাবনার বিষয় এই ভেন্যু। কিংসটাউনের আর্নোস ভ্যালিতে প্রায় ১০ বছর পর ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এই মাঠে এমনকি অনুষ্ঠিত হয়নি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচও। তবে, ক্যারিবীয় পিচগুলো সচরাচর ব্যাটিং সহায়কই হয়। টানা ব্যর্থ বাংলার টপ অর্ডারকে তাই খোলস ছেড়ে বের হতে হবে। প্রথম দুই ম্যাচে ঢাল হয়ে দলকে টানেন মাহমুদউল্লাহ ও তাওহিদ হৃদয়। তারা রোজ রোজ জ্বলে উঠবেন না।
ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে ম্যাচের গতিবিধি বদলায় দ্রুত। সেই অনুযায়ী ক্রিকেটাররা ভালো করতে না পারলে হতে পারে যে কোনো ফল। এক সপ্তাহ আগেও বাংলাদেশের মনোবল ছিল তলানিতে, এখন তারা অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী। এটি দলের জন্য ইতিবাচক দিক। ডাচ ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিতে তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেনরা প্রস্তুত। ব্যাট হাতে টপ অর্ডার ভালো শুরু এনে দিতে পারলে (আগে বা পরে যখনই ব্যাট করুক), মাঝখানে মাহমুদউল্লাহ-হৃদয়ের কাজটা সহজ হবে।
টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যানে এগিয়ে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চার দেখায় তিনটিতেই শেষ হাসি লাল-সবুজের। অরেঞ্জ আর্মিরা জিতেছে কেবল একটিতে। তবু, বিশ্বকাপের মঞ্চ বলে কথা। সাবধান থাকতে প্রতি মুহূর্তে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব।