মার্কিন মুল্লুকে ক্রিকেট খুব একটা পরিচিত খেলা নয়। যাদের নিয়ে গড়া যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ক্রিকেট দল, তাদের অধিকাংশই অন্য দেশের। পেশাদার ক্রিকেট খেললেও প্রায় সবারই আছে অন্য পেশা। সেই দেশে চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। সেখানকার একটি ভেন্যু ইতিহাসই গড়েছে বলা চলে। বলা হচ্ছে নাসাউ ক্রিকেট কাউন্টি স্টেডিয়ামের কথা, যাকে ক্রিকেটের প্রথম সম্পূর্ণ অস্থায়ী মাঠ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের যে তিনটি ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তার একটি নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যেটি মূলত একটি পার্কে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছিল। এবার সেটি সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মার্কিন সাংবাদিক পিটার দেল্লা পেনা আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তার এক্স অ্যাকাউন্টে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছেন।

ছবির ক্যাপশনে পিটার দেল্লা বলেন, ‘আইসেনহাওয়ার পার্কে তৈরি হওয়া নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম সরিয়ে নেওয়া হবে। বিদায় নাসাউ স্টেডিয়াম। আমরা মনে রাখব তোমাকে।’ 

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদন মতে, মাঠটি তৈরি করতে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের সময় লেগেছিল ১০৬ দিন বা সাড়ে তিন মাস। সেটি সরাতে তাদের সময় লাগবে ৪২ দিন বা প্রায় দেড় মাস। স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা কাঠামোটি সরালেও পিচ নিয়ে আইসিসি কিছু জানায়নি। আইসিসি ব্যাপারটি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের কাছে ছেড়ে দিয়েছে। তারা চাইলে সেটি সংরক্ষণ করতে পারে।

এই মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে, সবচেয়ে বড় ম্যাচটি ছিল ভারত-পাকিস্তানের। সবমিলিয়ে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোট আটটি খেলা উপভোগ করেছেন দর্শকরা।