তরুণদের সুযোগ দিতে অবসরে কোহলিরা, সাকিবদের কেন অনীহা?
বিদায় ঠিক কতটা সুন্দর হতে পারে, তারই যেন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভারতীয় দুই তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। লম্বা সময়ের ট্রফি খরা ঘুচিয়ে পূর্ণতা দিলেন নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারকে। তরুণদের সুযোগ দিতে ট্রফি জয়ের ঘণ্টার খানেকের মধ্যেই দিলেন অবসরের ঘোষণা। অথচ বছরের পর বছর ধরে খেলা এদেশের ক্রিকেটাররা দেশকে বৈশ্বিক শিরোপা জেতানো তো দূরে থাক, তরুণদের জায়গা দিতেও নারাজ। তারকা ক্রিকেটার হয়েও মানসিকতায় কেন এত পার্থক্য?
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল অম্ল-মধুর। বিশেষ করে সেমিতে যাওয়ার সুযোগ থাকার পরও ক্রিকেটারদের লড়াই না করার মানসিকতা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ তো তাদের আত্ননিবেদন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। পুরো বিশ্বকাপজুড়েই সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের পারফরম্যান্স ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
বিশেষ করে দলের কঠিন সময়ে তাদের ব্যর্থতা বেশ ভুগিয়েছে দলকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাদের অবসরের দাবি তোলেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্তরা। যদিও এই বিষয় নিয়ে খুব একটা মাথায় ঘামাচ্ছেন না সাকিবরা। অবসর নয় উল্টো আগামীতেও খেলে যাওয়ার ঘোষণা সাকিবদের।
অন্যদিকে, নিজেদের শেষ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে রঙ ছড়িয়ে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন রোহিত-কোহলিরা। পারফরম্যান্স দেখে তাদেরকে দল থেকে বাদ দেওয়া তো প্রায় অসম্ভব। তবে, বয়স ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সরে যাওয়াটাকেই সঠিক মনে করেছেন তারা। সিদ্ধান্তটা শুধুমাত্র পরবর্তী প্রজন্মকে সুযোগ দিতে।
কিন্তু বাংলাদেশের অবসর সংস্কৃতি এমনই; মাশরাফী, তামিম কিংবা মুশফিক কেউই পারেননি মাঠ থেকে নায়কের বেশে বিদায় নিতে। বেশিরভাগের বিদায়টা ফেসবুকে দায়সারা স্ট্যাটাসে। বিদায়ের সংস্কৃতিটা বেশ অদ্ভুতই বলা চলে। অন্যান্য দেশে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন আর বাংলাদেশে নিজের জায়গা আঁকড়ে রাখার যে বদঅভ্যাস। তাতে দিনশেষে পিছিয়ে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটই। কেন এমন অনীহা? উত্তরটা হয়তো দিতে পারবেন ক্রিকেটাররাই!