রাওয়ালপিন্ডিতে দিশেহারা বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে আশা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/08/22/bd_test.jpg)
ক্রিকেটের মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয় টেস্ট ক্রিকেটকে। অথচ দুই যুগ ধরে এই ফরম্যাট খেললেও এখনও বাংলাদেশে গড়ে ওঠেনি টেস্ট সংস্কৃতি। যার খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিটি সিরিজে। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন স্বস্তিতে শেষ করলেও বোলারদের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় দিনশেষে চালকের আসনে স্বাগতিকরা।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনে বৃষ্টির বাধায় লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকায় বড় স্কোরের দেখা পায়নি পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিনে সেই আক্ষেপ মেটালেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে শান মাসুদের দল। জবাবে, ১২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন দুই ব্যাটার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। সাদমান ১২ ও জাকির ১১ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে, প্রথম দিন চার উইকেট হারালেও দ্বিতীয় দিনের শুরুটা দারুণ করে স্বাগতিকরা। দুই ব্যাটার সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে গড়েন ২৪০ রানের জুটি। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় রানের ভিত পায় স্বাগতিকরা। এই দুইজনের ব্যাটিং দৃঢ়তার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সাকিব-মিরাজদের মতো বোলাররা।
প্রথম সেশনের হতাশার পর দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে গিয়ে কাঙ্খিত উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের করা রাউন্ড দ্য উইকেটের বল খেলতে কিছুটা সামনে আসেন শাকিল। বলটি ব্যাট ফাঁকি দিয়ে উইকেটের পেছনে থাকা লিটনের হাতে গেলে উইকেট ভাঙতে ভুল করেননি তিনি। ২৬১ বল খেলে ৯টি চারে ১৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন শাকিল।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে যোগ দেন আগা সালমান। এই জুটি অবশ্য খুব বেশি বড় হতে দেননি সাকিব আল হাসান। তার বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে মিরাজের হাতে তালুবন্দী হন সালমান। আউটের আগে করেন ১৯ রান। এরপর রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে মারকুটে ব্যাটিং করেন শাহিন আফ্রিদি। শেষমেশ দলীয় ৪৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ব্যক্তিগত ১৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।