রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজশাহীর মাঝারি সংগ্রহ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা ও সিলেট পর্ব শেষে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি দল এখন রয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। খুলনা-সিলেট ম্যাচ দিয়ে রাতে পর্দা নামছে চট্টগ্রাম পর্বের। দিনের প্রথম ম্যাচে লড়ছে রাজশাহী-রংপুর। প্লে-অফ আগেই নিশ্চিত হওয়ায় নির্ভার তারকাসমৃদ্ধ রংপুর রাইডার্স। আগে ব্যাট করে সোহানের দলকে ১৭১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল দুর্বার রাজশাহী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তোলে রাজশাহী। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ইয়াসির রাব্বি। এছাড়াও ৩৯ রান আসে সাব্বিরের ব্যাট থেকে। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন খুশদীল শাহ।
ব্যাট হাতে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন রাজশাহীর দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও সাব্বির হোসেন। প্রথম ওভারেই জীবন পান হারিস। পাকিস্তানের এই ওপেনার রাকিবুল হাসানের করা দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কাভারে একটি চার মারেন। এর দুই বল পরে মিড অনে সহজ ক্যাচ দেন তিনি। স্টিভেন টেলর ক্যাচটি ধরতে পারেননি।
প্রথম দুই ওভারেই রাজশাহীর স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ২০ রান। এরপরই ছন্দপতন! রাকিবুল হাসানের বলে এক্সট্রা কাভারে খুশদিল শাহ এর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হারিস। ১২ বলে ১৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন সাব্বির। পাওয়ার প্লেতে দলটি তোলে ৬৪ রান। ব্যাট হাতে রীতিমত ঝড় তোলেন সাব্বির। একটা সময় মনে হচ্ছিল দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়বে তারা, যদিও রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেটি আর সম্ভব হয়নি।
শেষমেশ সেই জুটি ভাঙেন খুশদীল শাহ। দলীয় ৭৬ রানের মাথায় সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। আউটের আগে খেলেন ১৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। সাব্বির বিদায়ের পরের বলেই ফেরেন আরেক ব্যাটার রায়ান বার্ল। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। হঠাৎ দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজশাহী।
তবে, এনামুল বিজয় ও ইয়াসির রাব্বির ব্যাটে সেই চাপ সামলে লড়াকু সংগ্রহের ভিত গড়ে দলটি। ৩২ বলে ৬০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রাব্বি। তার বিদায়ে ভাঙে এই দুই ব্যাটারের ৭৬ রানের জুটি। এরপর আকবরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। ৩১ বলে ৩৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানে থামে রাজশাহী।