ভারত-নিউজিল্যান্ড সুপার ফাইনাল রোববার

ভারতে সুপার সানডে বলে একটা কথা আছে। রোববার ছুটির দিন। দিনটি আনন্দে কাটাতে চায় ভারতীয়রা। সেদিনই যদি থাকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল আর সেই ফাইনালের এক দল ভারত, তাহলে তো কথাই নেই। সুপার সানডের সুপার ফাইনালে আগামীকাল রোববার (৯ মার্চ) চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে মাঠে নামছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।
গোট চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ভারতের সুবিধার বিষয়টি। বিশেষত একমাত্র দল, যাদের কোনো ভ্রমণ করতে হয়নি। একই ভেন্যুতে নিজেদের সব ম্যাচ খেলেছে। যেখানে অন্যান্য দলকে ছুটতে হয়েছে পাকিস্তান থেকে দুবাই, দুবাই থেকে পাকিস্তান।
সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। ভারত বাদে বাকি ৭ দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘুরতে হয়েছে কিউইদের। রাওয়ালপিন্ডি, করাচি, দুবাই, লাহোর—চার ম্যাচে চারটি আলাদা ভেন্যু। যেন যাযাবর এক দল। ফাইনালেও নিস্তার নেই। পাকিস্তান থেকে ফের ছুটতে হয়েছে দুবাই।
সব ছাপিয়ে ফাইনালে চোখ নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিডের। ম্যাচের আগে তিনি বলেন, ‘এটি আসলে আমাদের হাতে নেই। এতে কোনো সন্দেহ নেই, ভ্রমণের সূচিটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। তবে, ফাইনালের আগে আমরা সময় পেয়েছি। অনুশীলন করব নিজেদের প্রস্তুত করতে। সবসময় শারীরিক অনুশীলন করতে হবে তা নয়। মানসিকভাবে ছেলেদের ঠিক করতে হবে ফাইনালের জন্য। সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। শিরোপা জিততে হলে সব ভুলে মাঠে নজর দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আসা ভারতের সহ-অধিনায়ক শুভমান গিল বলেন, ‘আমাদের দলে অভিজ্ঞ ও তরুণ ক্রিকেটারের সমন্বয় রয়েছে। সবার মধ্যে চিন্তা একটাই, চাপের মধ্যে স্বাভাবিক থাকা। কারণ, বড় ম্যাচের আলাদা চাপ থাকে। এসব পার করে আমরা ফাইনাল খেলছি। নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিতে হবে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল ২০১৩ সালে। নিউজিল্যান্ডের অপেক্ষা অবশ্য দীর্ঘ ২৫ বছরের। ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় আসরে শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল কিউইরা। ভারত ২০১৩ সালে জেতার আগে ২০০২ এর আসেরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে সেরা হয়েছিল। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠেয় সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হেরে রানার্সআপ হয় ভারত।