চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা একাদশে আছেন যারা

পর্দা নেমেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরের। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাট এবং বল হাতে একাধিক অসাধারণ পারফরমার আলো ছড়িয়েছেন। এই পারফরমারদের মধ্য থেকে সেরা একাদশ গঠন করেছে আইসিসি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কারা আছেন সেই তালিকায়।
১. রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড)
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্রর হাতে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। ৬২.৭৫ গড়ে করেছেন ২৫১ রান, আছে দুটি শতক। বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
২.ইব্রাহিম জাদরান (আফগানিস্তান)
দলের ডানহাতি ওপেনার হিসেবে আছেন আফগান ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসরে সর্বোচ্চ ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩ ইনিংসে ৭২ গড়ে করেন ২১৬ রান। দল সেমিতে উঠলে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়েও থাকতে পারতেন তিনি।
৩.বিরাট কোহলি : মেগা ফাইনালে জ্বলে উঠতে না পারলেও ভারতকে ফাইনালে তুলতে দারুণ ভূমিকা ছিল বিরাট কোহলির। ৫ ম্যাচে ৫৪.৫০ গড়ে ২১৮ রান করেন কোহলি। ফিল্ডিংয়েও দারুণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
৪.শ্রেয়াস আইয়ার : ভারতীয় আরেক ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন। ৫ ইনিংসে ৭৯.৪১ গড়ে করেছেন ২৪৩ রান। একাদশে মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
৫.কে এল রাহুল : ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটার কেএল রাহুল ৫ ইনিংসে করেছেন ১৪০ রান। উইকেটের পেছনে দারুণ ভূমিকা ছিল তার। ধরেছেন বেশকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ।
৬.মাইকেল ব্রেসওয়েল : অলরাউন্ডারদের ক্যাটাগরিতে সুযোগ পেয়েছেন কিউই তারকা মাইকেল ব্রেসওয়েল। ৫ ম্যাচে ৪১ গড়ে নিয়েছেন ৮ উইকেট। আর ব্যাট হাতে করেছেন ৮২ রান। ফাইনালেও পেয়েছেন উইকেট।
৭.আজমতউল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান) : আফগানিস্তানের এই অলরাউন্ডার ৩ ম্যাচে ৪২ গড়ে নিয়েছেন ১২৬ রান। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের ফলে সুযোগ পেয়ে যান সেরা একাদশে।
৮. মিচেল স্যান্টনার (নিউজিল্যান্ড) : কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার আছেন দলে। ৫ ম্যাচে ৪.৮০ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৯ উইকেট। ব্যাট হাতে তেমন অবদান রাখতে না পারলেও নেতৃত্বে দিয়ে সবাইকে চমকে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দলকে ফাইনালে তোলার ক্ষেত্রে ছিল তার বড় ভূমিকা।
৯.ম্যাট হেনরি (নিউজিল্যান্ড) : নিউজিল্যান্ডের তারকা পেসার ম্যাট হেনরি চোটের কারণে ফাইনালে খেলতে না পারলেও ৪ ম্যাচে নিয়েছেন আসরের সর্বোচ্চ ১০ উইকেট, গড় ১৬.৭০।
১০.বরুণ চক্রবর্তী (ভারত) : বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে দলে আছেন ভারতের বরুণ চক্রবর্তী। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালেও দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। ৩ ম্যাচে ৪.৫৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৯ উইকেট। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি।
১১. কুলদীপ যাদব (ভারত) : ভারতের আরেক স্পিনার কুলদীপ যাদবও আছেন একাদশে। ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। খুব বেশি উইকেট না পেলেও রান খরচায় অনেকটা মিতব্যয়ী ছিলেন তিনি।