ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বৃথা গেল মিরাজের লড়াই

কোনো ব্যাখ্যায় কি এই হারকে ফেলা যায়? ঘরের মাঠ, চেনা পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা, শক্তি-সামর্থ্য—সবদিকেই জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। অথচ আসল যে কাজ, মাঠের ক্রিকেট, সেখানে নিদারুণ ব্যর্থ ক্রিকেটাররা। যার খেসারত দিতে হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটের হারে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে লড়াইটা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও জিম্বাবুয়ের ব্যাটাদের মধ্যে। ১৭৩ রানের পুঁজি বাংলাদেশের। গতকালকের বৃষ্টির পর জানা হয়ে যায়, চতুর্থ ইনিংসে ২৫০ রান হলে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। বাংলাদেশের রান আড়াইশ পার করেছে (২৫৫/১০) বটে, তবে লিড ছিল ১৭৩ রানের। জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ১৭৪। যা ডিফেন্ড করে ম্যাচ বের করা প্রায় অসম্ভব ছিল বাংলাদেশের জন্য।
মিরাজ তবু একাই চেষ্টা করে গেছেন। প্রথম ইনিংসে ফাইফার নেওয়া বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক দ্বিতীয় ইনিংসেও তুলে নেন ফাইফার। ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়েও তাকে হতাশই হতে হলো। ব্যাটাররা আরেকটু দায়িত্বশীল আচরণ করলে, রান ৩০-৪০ বেশি হলে বোধহয় ফেল বের করে আনতে পারতেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে যখন বড় লিডের স্বপ্ন দেখছিল, মিরাজ তখন আঘাত হানেন। ৫২ রানে নেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংসেই ফাইফার, ম্যাচে ১০ শিকার, অথচ নিঃসঙ্গ শেরপার মতো মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হলো মিরাজকে।