চট্টগ্রাম টেস্ট
অলআউট হওয়ার আগে জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় লিড বাংলাদেশের

ব্যাট হাতে ভরাডুবির নিত্য গল্প দেখে সবাই যখন চূড়ান্ত হতাশ, তখনই জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ পেয়েছে জোড়া সেঞ্চুরির দেখা। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকরা থেমেছে ১২৯.২ ওভারে ১০ উইকেটে ৪৪৪ রানে। প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশের লিড ২১৭ রান।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল ৭ উউকেটে ২৯১ রান নিয়ে। মিরাজকে ভালো সঙ্গ দেওয়া তাইজুল ইসলাম বিদায় নেন দলীয় ৩৪২ রানে। ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে তাফাজওয়া সিগার স্ট্যাম্পিংয়ে পরিণত হন ২০ রান করা তাইজুল। ভাঙে ৬৩ রানের জুটি। এরপর আসেন তানজিম সাকিব। তাকে নিয়ে মিরাজ গড়েন ৯৬ রানের জুটি। মাদেভিরের শিকার হওয়ার আগে ৮০ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন সাকিব।
শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে মিরাজ তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। মাসেকেসার বলে আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেছেন ১৬২ বলে ১১টি চার ও ১ ছক্কায় ১০৪ রানের ইনিংস। যা তার ক্যারিয়ার সেরা।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর ওপেনাররা হাসি ফুটিয়েছেন মুখে। সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ১১৮ রান। মধ্যাহ্ন বিরতির পর এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে লেগ বিফোর হওয়ার আগে বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। প্রায় তিন বছর পর টেস্টে ফেরা বিজয়ের এটি বাংলাদেশের জার্সিতে নিজের সর্বোচ্চ।
বিজয়কে হারালেও মুমিনুল হককে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাদমান। দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৭৬ রান। বেন কারানের ক্যাচ বানিয়ে মুমিনুলকে ফেরান ওয়েলিংটন মাসাকাজদা। মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে সাদমানকে লেগ বিফোরে ফাঁদে ফেলেন ব্রায়ান বেনেট। আউট হওয়ার আগে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১২০ রান করেন সাদমান। টেস্টে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৩ রানে নিক ওয়েলচকে ক্যাচ দেন ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে। ২৫৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেট দ্রুতই হারিয়েছে স্বাগতিকরা। মাসেকেসাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ৫ রানেই সমাপ্ত হয় জাকের আলী অনিকের ইনিংস। ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। রানে ফেরা মুশফিকুর কাটা পড়েন রান আউটের দুর্ভাগ্যে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার করেন ৪০ রান।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ফাইফার নেন মাসেকেসা। ১১৫ রানে ৫ উইকেট পান তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ১২৯.২ ওভারে ৪৪৪/১০ (সাদমান ১২০, বিজয় ৩৯, মুমিনুল ৩৩, শান্ত ২৩, মুশফিক ৪০, জাকের ৫, মিরাজ ১০৪, নাঈম ৩, তাইজুল ২০, সাকিব ৪১, হাসান ০*; এনগারাভা ১৪-২-৫৭-০, মুজারাবানি ২৬-৫-৮৩-১, মাসাকাদজা ৩৪-৫-৯০-১, মাসেকেসা ৩১.২-০-১১৫-,৫ মাদেভিরে ১৫-১-৩৫-১, বেনেটে ৯-১-৪৯-১)
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস : ২২৭/১০