কেন হঠাৎ অবসরের ঘোষণা দিলেন কোহলি?

শচীন টেন্ডুলকার পরবর্তী সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটর সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলি। ওয়ানডেতে ভেঙেছেন শচীনের শতকের রেকর্ড। টেস্টে না পারলেও নামের পাশে আছে ৩০টি সেঞ্চুরি। করেছেন ৯ হাজারের বেশি রান। এতসব অর্জন নিয়েও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ কোহলি থেমে গেলেন ৩৬ বছর বয়সে। সাবেক এই অধিনায়ক আজ সোমবার (১২ মে) বিদায় জানালেন টেস্ট ক্রিকেটকে।
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন গত বছর বিশ্বকাপ জিতে। চলতি বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতার পর অনেকে ভেবেছিলেন, ওয়ানডেকেও বিদায় জানাবেন। কোহলি সেটি করেননি। তার নজর ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। একদিনের ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পাঁচদিনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন কোহলি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অনুরোধেও বদলালেন না সিদ্ধান্ত। কিন্তু, হঠাৎ এত কঠিন কেন হলেন কোহলি? এমন প্রশ্ন ঘুরছে ভক্তদের মনে। ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমের মতে, কোহলি টেস্টকে বিদায় বলেছেন বেশকিছু কারণে। যার অন্যতম, তার অফফর্ম।
সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন এ বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া কোহলি সিরিজের বাকি অংশে এমনকি ফিফটিও করতে পারেননি। আউট হয়েছেন আটবার। সাতবারই অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন, যা নিয়ে হয়েছিল প্রবল সমালোচনা।
ভারতের বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীর এমন অফফর্মের পর কোহলিকে পাঠান রঞ্জি ট্রফি খেলতে। এই বয়সে এসে যা তার মতো একজনের জন্য লজ্জাজনক। তার ওপর রঞ্জিতেও হাসেনি কোহলির ব্যাট। সবমিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, টেস্ট ক্রিকেটে বোঝা হয়ে ওঠার আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
২০১১ সালের জুনে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হন কোহলি। শেষবার সাদা পোশাকে মাঠে নামেন চলতি বছর জানুয়ারিতে, সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩৬ বছর বয়সী কোহলি এর মাঝে খেলেছেন ১২৩টি টেস্ট। ২১০ ইনিংসে ৪৬.৮৫ গড়ে ব্যাট হাতে রান করেছেন ৯ হাজার ২৩০। নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩১টি হাফসেঞ্চুরি ও ৩০টি সেঞ্চুরি।