গলে নানা বাক বদল শেষে ড্র হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। শেষ দিনে বেরসিক বৃষ্টি এসে বদলে দিয়েছিল অনেক কিছুই। জয়-পরাজয়ের নতুন সম্ভাবনাও উঁকি দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দুই দলকে।

এ ম্যাচেও নিজেদের পুরনো রোগে ভুগেছে বাংলাদেশ। ব্যর্থ হয়েছিল টপঅর্ডার ব্যাটাররা। সেখান থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসে দুজনে মিলে গড়েছিলেন ২৬৪ রানের রেকর্ড জুটি। সেঞ্চুরি করেছিলেন দুজনই।

ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিকের প্রশংসা করে শান্ত বলেন, ‘দারুণ একটা কামব্যাক হয়েছে। মুশি ভাই যেভাবে আমার সাথে ব্যাটিং করেছে, সেটা ছিল অসাধারণ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমাদের খুব একটা আত্মবিশ্বাস ছিল না, কিন্তু এই সিরিজের আগে আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম এবং এই ম্যাচে আমরা অনেক ক্যারেক্টার দেখিয়েছি।’

দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছেন শান্ত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নাম লিখিয়েছেন দুইটি রেকর্ডে। বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দুইবার একই টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন তিনি। বিশ্ব ক্রিকেটে নাম লিখিয়েছেন অনেক রথি-মহারথিদের সঙ্গে।

নিজের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি এটা (রেকর্ড) জানতাম না। তবে দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

দুই ইনিংসেই দুর্দান্ত বোলিং‍ করেছেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার নাঈম হাসান আর তাইজুল ইসলাম। ম্যাচ শেষে তাই তাদের প্রশংসা করতেও ভুল করেননি শান্ত। তিনি বলেন, ‘তাইজুল আর নাঈম যেভাবে বোলিং করেছে, সেটা সত্যিই ভালো ছিল। এই কন্ডিশনে, প্রথম ইনিংসে নাঈম যেভাবে বোলিং করেছে, সেটা ছিল দুর্দান্ত। তার খুব একটা সুযোগ ছিল না আগে, কিন্তু তার ওয়ার্ক এথিক্স চমৎকার এবং আজ সে দেখিয়ে দিলো সে কতটা ভালো।’

বৃষ্টির কারণে এদিন অনেক সময় বন্ধ ছিল খেলা। দ্বিতীয় সেশনে শান্তর সেঞ্চুরির পরে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। বৃষ্টি না হলে আগেই ইনিংস ঘোষণা করা হতো কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু হঠাৎ করে বৃষ্টি এলো আর আমাদের পরিকল্পনাও হঠাৎ করে বদলে গেল। এসব জিনিস আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।’