বিজয়কে কেন দলে নেওয়া হবে না, প্রশ্ন করলেন শান্ত

এনামুল হক বিজয়ের বয়স এখন ৩২ বছর। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বয়সে ক্রিকেটারদের বিদায় নিয়ে চিন্তার সময় চলে আসে। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে এসে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন বিজয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ওপেনার হিসেবে তার উপর আস্থা রেখেছিলেন নির্বাচকেরা। অধিনায়কের ভরসার জায়গাতেও ছিলেন। যে কারণে দুই ম্যাচেই একাদশে ছিলেন তিনি।
বিজয় অবশ্য সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০ বলে ০ আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ২০ বলে ৪ রান। কলম্বোতেও একই চিত্র ছিল তার ব্যাটে। এবারও প্রথম ইনিংসে ১০ বলে ০ আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১৯ বলে ১৯ রান।
বিজয়ের এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরে প্রশ্ন উঠছে কেন তাকে জাতীয় দলে ডাকা হলো। তরুণদের সুযোগ না দিয়ে বিজয়কেই কেন পছন্দ করলো টিম ম্যানেজমেন্ট। আজ সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
শান্ত বলেন, ‘আমাদের ওপেনাররা গত কয়েক বছর ধরে ভালো করতে পারছিল না। জয়-জাকের কিছু কিছু ম্যাচে ভালো করেছে। কিন্তু তারপরে দেখা গেছে ওই ভাবে কন্ট্রিবিউট করতে পারেনি। তো আমরা এমন একজন অভিজ্ঞ ওপেনার খুঁজছিলাম, যার পেছনে অনেক রান আছে। যে এই ফরম্যাটে একটু অভিজ্ঞ। তো এই চিন্তা করেই নেওয়া হয়েছিল (বিজয়কে)।’
বিজয়কে দলে নেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তার ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স। শেষ দুই মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে হেসেছে বিজয়ের ব্যাট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নয় হাজারের উপরে রান তার। সেঞ্চুরিও আছে ২৪টি। এমন একজন ক্রিকেটারকে কেন জাতীয় দলে নেওয়া হবে না? সেই প্রশ্নই তুললেন শান্ত।
শান্ত বলেন, ‘যদি আপনি বিজয় ভাইয়ের বিষয়টা বলেন, নয় হাজার ফার্স্ট ক্লাস রান, ২৪টা সেঞ্চুরি, ৪৯টা হাফসেঞ্চুরি। তো এরকম একটা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে কেনো আমরা দলে নিবো না?’
শ্রীলঙ্কা সিরিজে বিজয় ব্যর্থ হলেও শান্তর বিশ্বাস আবারও সুযোগ পেলে ভালো করবেন বিজয়। শান্ত বলেন, ‘সুযোগ ছিল, কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে সে ভালো করতে পারেনি। সে দলের জন্য রেজাল্ট দিতে পারেনি এটা অবশ্যই হতাশার। তবে আমি বিশ্বাস করি, সামনে যদি সুযোগ আসে সে ভালো কিছু করবে।’