সমালোচনা থাকবেই, আরেকটু সম্মানের সঙ্গে হলে ভালো : শান্ত

গল টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এই কীর্তিতে জায়গা করে নিলেন গাভাস্কার-পন্টিং-হেইডেন-জ্যাক ক্যালিসদের সঙ্গে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে সেঞ্চুরি করার পর ২০ ইনিংসে কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি শান্ত। সেজন্য সমালোচনাও শুনতে হচ্ছিল তাকে। অবশেষে গল টেস্ট দিয়ে শান্ত ফিরে আসলেন আপন মহিমায়, অনন্য উচ্চতা নিয়ে গেলেন নিজেকে। পরপর দুই ইনিংসে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি, গড়লেন রেকর্ড।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছেন, ‘সমালোচনা, কথাবার্তা এগুলো তো থাকবেই। একজন প্লেয়ার হিসেবে প্রতিদিন কীভাবে দলের জন্য অবদান রাখতে পারি এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার ওয়ার্ক এথিক্স ঠিক আছে কি না, কতটুকু কষ্ট করছি, ইনটেনশন ঠিক আছে কি না এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে চেষ্টা করেছি, দলে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে।’
শুধু শান্তকে নিয়েই না বাংলাদেশ দলকে নিয়েও সমালোচনা হতে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর এই সংস্কৃতি নিয়ে তিনি মনে করেন সবাই সবার জায়গা থেকে দলের জন্য ভালো চিন্তা করে কথা বললেই ভালো কালচার তৈরি হবে। গল টেস্টের শান্ত বললেন, ‘সবারই সাহায্য দরকার। প্লেয়ারদের আসলে অবশ্যই এই জায়গায়টাতে সুন্দরভাবে অ্যান্সার করা দরকার। প্লেয়ারদের এই জায়গাটাতে ভালোভাবে হ্যান্ডেল করা দরকার। আপনারা আছেন, পাশাপাশি যারা অনেকে কনটেন্ট বানায়, অনেক কিছুই করে ওই জায়গাটাতে আরেকটু শুদ্ধতা থাকলে ভালো। একটু সম্মানের সাথে, আমি বলছি না সমালোচনা হবে না। আরেকটু সম্মানের সাথে হলে ভালো, কারণ খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে। কিন্তু আমার মনে হয় দলটা যেহেতু আমাদের সবার, সবার সাহায্যই দরকার। দলটা যদি ভালো করে তাহলে সবার একটা ভালো লাগা কাজ করে। এই জায়গায় আসলে আমি বলতে পারবো না ওয়েটা কী। সবাই সবার জায়গা থেকে দলের জন্য ভালো চিন্তা করে কথা বলা হলে অবশ্যই ভালো একটা কালচার তৈরি হবে। যদি সম্মানের সাথে একটু কথা বলি তাহলে এই কালচারগুলো আস্তে আস্তে চেঞ্জ হবে।’
শুধু যে খারাপ করেই সমালোচনা শুনতে হয়েছে এমনটা নয়, ভালো করলেও অনেক সময় সমালোচনায় পড়তে হয় শান্তকে। তবে এই বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চান না অধিনায়ক শান্ত। শান্ত বলেন, ‘আসলে ভাই সত্যি কথা বলতে গেলে, কে আমাকে নিয়ে অনেক ভালো কথা বলল বা অনেক বেশি খারাপ বলল, খুব বেশি ওদিকে ফোকাস না করে আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন আমি কীভাবে আরও ভালো করতে পারি। কোনোদিন হয় কোনোদিন হয় না। খেলাটাই এমন। আসলে কে বেশি অ্যাপ্রিসিয়েট করলো বা করলো না বা আমি আরেকটু বেশি ডিজার্ভ করি না করি, বেশি প্রত্যাশা না থাকাই ভালো। আমার মনে হয় ব্যাটিং উপভোগ করছি কিনা, দলে অবদান রাখতে পারছি কিনা সেইটা গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাপ্রিসিয়েশন যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই জায়গায় আসলে আমার বাড়তি কোনো চাওয়া নেই এবং আমি কোনো প্রত্যাশাও রাখি না।’