এবার আইসিসি থেকে পুরস্কার পেলেন মার্করাম

প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছিলেন এক অনবদ্য ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিতিয়েছিলেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। লর্ডসে সেঞ্চুরি করে ফাইনালের সেরা হয়েছিলেন এইডেন মার্করাম। সেই ইনিংস দিয়ে এরপর জায়গা করে নিয়েছিলেন আইসিসির জুন মাসের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায়। এবার মার্করামের অর্জনের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি পালক। জুন মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) জুন মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। নারীদের মধ্যে সম্মাননাটি পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস।
জুন মাসের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় ছিলেন মার্করামেরই সতীর্থ কাগিসো রাবাদা আর শ্রীলঙ্কার পাথুম নিশাঙ্কা। এই দুজনকে পেছনে ফেলে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মার্করাম। আর হেইলি ম্যাথিউস পেছনে ফেলেছেন স্বদেশি অ্যাফি ফ্লেচার ও দক্ষিণ আফ্রিকার তাজমিন ব্রিটসকে।
জুন মাসে শুধু একটি টেস্ট ম্যাচই খেলেন মার্করাম। লর্ডসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ফিরেছিলেন রানের খাতা খোলার আগেই। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে অসম্ভবকে সম্ভব করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শিরোপা জেতান। ২০৭ বলে ১৩৬ রান করেন প্রোটিয়া এ ব্যাটার।
মার্করামের সেই ইনিংসে ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ২৭ বছর পর কোনো আইসিসি ট্রফি জয়ের স্বাদ পায় প্রোটিয়ারা। এর আগে ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল তারা।
কেবল ব্যাট হাতেই নয়, ফাইনালে বোলিংয়েও অবদান রাখেন মার্করাম। দুই ইনিংসে একটি করে উইকেট নেন তিনি।
অন্যদিকে, এ নিয়ে চতুর্থবার মাস সেরার পুরস্কার জিতলেন ম্যাথিউস। প্রথমবার তিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন ২০২১ সালের নভেম্বরে। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবর ও ২০২৪ সালের এপ্রিলে আরও দুইবার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার। চারবার মাস সেরা হওয়া দ্বিতীয় ক্রিকেটার তিনি। আরেকজন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অ্যাশলি গার্ডনার।
ম্যাথিউজ এই স্বীকৃতি পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেটে আলো ছড়িয়ে। তিন ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে সংগ্রহ করেন ১০৪ রান। বল হাতেও ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতেও ক্যারিবিয়ানদের সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। ব্যাট হাতে দুই ফিফটিতে তোলেন ১৪৭ রান। বল হাতেও ধরেন দুই শিকার।