ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা

স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ফুটবল ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার লুকাস পাকেতার। বেটিং মার্কেটে প্রভাব ফেলতে চারটি ম্যাচে ইচ্ছে করে হলুদ কার্ড দেখার অভিযোগ ছিল এই ব্রাজিলিয়ান তারকার বিরুদ্ধে। যেটা প্রমাণিত হলে ফুটবল থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হবেন তিনি। তবে, আপাতত কিছু হচ্ছে না। কারণ, তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে বিষয়টি জানিয়েছে এফএ ও ওয়েস্ট হাম। প্রায় দুই বছরের তদন্ত শেষে পাকেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে জানিয়েছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশন।
২০২৩ সালের আগস্টে পাকেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এফএ। এরপর ২০২৪ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ‘বাজির বাজারকে প্রভাবিত করতে অনৈতিক উদ্দেশে’ কার্ড দেখার চারটি অভিযোগ আনা হয় এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে কমিশন জানিয়েছে, পাকেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত মোট চারটি ম্যাচে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্ড দেখার অভিযোগ আনা হয় পাকেতার বিরুদ্ধে। ম্যাচগুলো ছিল- ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর লেস্টার সিটি, ২০২৩ সালের ১২ মার্চ অ্যাস্টন ভিলা, ২১ মে লিডস ইউনাইটেড ও ১২ আগস্ট বোর্নমাউথের বিপক্ষে ওয়েস্ট হামের ম্যাচ।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে পাকেতা বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলেছি, আমি নির্দোষ। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না। তবে এটুকু বলতে চাই, সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দুই বছর পর হাসিমুখে মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছি।’
সেসময় পাকেতার বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা ও অভিযোগ অস্বীকার করায় আরও দুটি অভিযোগ আনা হয় পাকেতার বিরুদ্ধে। স্পট-ফিক্সিং প্রমাণিত না হলেও পাকেতার বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিশন। তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথিপত্র সরবরাহ না করায় ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে জানিয়েছে কমিশন। এই অপরাধে কী শাস্তি হবে, তা পরে জানানো হবে।
এই অভিযোগ ওঠার আগে সম্ভাব্য ৮৫ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার চুক্তিতে ম্যানচেস্টার সিটিতে যাওয়ার কথা ছিল পাকেতার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পরে সেটি বাতিল হয়ে যায়। এ নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে পাকেতার আইনজীবী অ্যালাস্টার ক্যাম্পবেল জানান, (অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়) সে খুবই আবেগাপ্লুত। পাকেতার সম্ভাব্য ৮৫ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানচেস্টার সিটিতে যাওয়ার সুযোগ এই তদন্তের কারণে নষ্ট হয়েছে। এ নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) জানিয়েছে, তারা কমিশনের লিখিত রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগে কোনো মন্তব্য করতে চায় না তারা।