কাবরেরার সমালোচনা করলেন বাফুফের আরেক সদস্য

প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে ফুটবলে নতুন কিছুর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। এর শুরুটা খুব ভালো না হলেও খেলা দেখে দর্শকরা খুব প্রশংসা করে। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ভালো খেলেও ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকেই সমালোচনা হচ্ছে জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে। সমর্থকদের পাশাপাশি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্যরাও সমালোচনা করছেন তাকে নিয়ে।
এর আগে চলতি বছরের জুনে জাতীয় দল কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে ভরা মজলিশে কাবরেরার পদত্যাগ চেয়েছিলেন। এজন্য জাতীয় দল কমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতির দেওয়া হয়। এবার তার সমালোচনা করলেন বাফুফের আরেক সদস্য ছাইদ হাসান (কানন)। গতকাল (৪ আগস্ট) বসুন্ধরা কিংসের অনুশীলন মাঠে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অনুশীলনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কাবরেরা ও তাঁর কোচিং স্টাফদের নিয়ে কথা বলেন কানন।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে একসঙ্গে চারটি পরিবর্তন করেন কাবরেরা। ট্যাকটিস হিসেবে যেই বিষয়টি ভালো লাগেনি কাননের। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে চারজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করাটা আমার কাছে খারাপ লেগেছে। একজন সাবেক খেলোয়াড়, কোচ ও জাতীয় দল কমিটির সদস্য হিসেবে এই বিষয়গুলো হতাশ করেছে আমাকে।’
কাবরেরার একাদশ নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কানন। নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়কে না নামানোর বিষয়টি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়া রাকিবের রাইটব্যাকে খেলার বিষয়টি নাকি জানতেন না কোচ। বিষয়গুলো নিয়ে তিনি বলেন, ‘আল–আমিন নামার পর রাকিব কেন রাইট ব্যাকে গেল? জামাল ভূঁইয়াকে কেন মাঠে নামানো হয়নি? ভুটান ম্যাচে জামালের সেটপিস থেকেই হামজা গোল করেছিল। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আমরা ১১টি সেটপিস পেয়েছিলাম—জামাল থাকলে অন্তত একটি গোলের সুযোগ পেতাম। কোচ বলছে রাকিব যে রাইটব্যাক খেলেছে তা তিনি জানেন না। তাহলে কোচিং স্টাফ যারা ছিল তাদের অবস্থান কি- প্রশ্নবিদ্ধ।'
কাবরেরা বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে আছেন সাড়ে তিন বছর ধরে। তার অধীনে ২০২৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। তবে এখন তাকে নিয়ে সমালোচনাটাই বেশি হয়। কাবরেরার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কানন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের।