ফুটবলারদের পাঙাশ মাছ খাওয়ানোর অভিযোগ অস্বীকার বাফুফের

দেশের নারী ফুটবলের সিস্টেমটা কিছুটা ভিন্ন। সারা বছর ফুটবলারদের থাকতে হয় বাফুফে ভবনের ক্যাম্পে। সেখানে সবকিছুর তত্ত্বাবধান করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অনেকবারই প্রশ্ন উঠেছে নারী ফুটবলারদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে। ফুটবলারদের সাফল্যের আনন্দের পাশাপাশি এবার প্রশ্ন উঠছে, ফুটবলারদের পুষ্টিকর খাবার নিয়ে। মেয়েদের নাকি ঠিকঠাক পুষ্টির চাহিদা মিটছে না। অভিযোগ উঠেছে, বাফুফের ডরমেটরিতে পাঙাশ মাছ খাওয়ানোর।
আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় অবশ্য সেই অবিযোগ অস্বীকার করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি জানিয়েছেন, একদিনও পাঙাশ মাছ খাওয়ানো হয় না মেয়েদের। বেশিরভাগ সময় রুই, মুরগি, গরু-খাসি দেওয়া হয়।
কিরণ বলেন, ‘অনেকেই বলে, আমরা এখানে পাঙ্গাশ মাছ খাওয়াই। বেশিরভাগ সময় রুইমাছ থাকে। থাকে মুরগি, গরু, খাসি ও ডিম। ইলিশ ও পাবদা খেতে চাইলে দেওয়া হয়। প্রতিদিন তো এমন খাবারই দেওয়া হয়।’
কিরণ প্রশ্ন তুলেন মেয়েরা যদি ঠিকমতো খেতেই না পারে তাহলে ৯০ মিনিট খেলে কীভাবে। তিনি বলেন, ‘মেয়েরা যদি ঠিকমত খেতেই না পারে তাহলে ৯০ মিনিট খেলতেই পারবে না। ওরা তো ৯০ মিনিট একই ছন্দে খেলে। না খেয়ে খেলে? পাঙ্গাস মাছ খেয়ে খেলে?’
অভিযোগ আছে নারী ফুটবলাররা নাকি ক্যাম্পে ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার পান না। এটা নিয়ে কিরণ বলেন, ‘পুষ্টিহীনতার কথায় আমি একমত না। বাফুফের ডরমেটরিতে যে খাবার দেওয়া হয়, সেটি পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা। আমরা তাদের পুষ্টি নিশ্চিত করি। ছোটবেলা থেকে তাদের যে সমস্যা ছিল, সেটা তো আমরা কাটাতে পারব না।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের সামনে এসেছে লাওসে অনূর্ধ্ব-২০ দলের খাবার খেতে না পারার বিষয়। খাবার না খেতে পারার ব্যাখ্যা দিয়ে কিরণ বলেন, ‘একেক দেশের খাবার একেক রকম। লাওসের খাবার তো মেয়েরা খেতে পারে না। বাঙালি খাবার খেতে না পারার কারণে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এ জন্য বাঙালি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খাওয়ানোর কথা বলেছিলাম। পিটারের তো সিদ্ধ খাবার ভালো লাগবেই। এটা নিয়ে দ্বিধায় থাকার কিছু নেই।’
গতমাসে সিনিয়র দল এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। এক মাস পর অনূর্ধ্ব-২০ দলও সেই সাফল্য পেলো। একই বছরে দুই দলের এমন সাফল্যে নারী ফুটবলের প্রধান কিরণ মনে করেন, সঠিক পথেই পথে নারী ফুটবল।
কিরণ বলেন, ‘এখান থেকে একটা বিষয় প্রমাণ হয় আমাদের পাইপলাইন অনেক স্ট্রং। যে বছর সিনিয়র টিম কোয়ালিফাই করল, একই বছর বয়সভিত্তিক টিমও কোয়ালিফাই করল। এতে বুঝতে হবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল সঠিক পথে আছে এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে।’