মায়ামিতে বার্সার ম্যাচ নিয়ে ঘোর আপত্তি রিয়ালের

আগামী শুক্রবার রাতে মাঠে গড়াবে লা লিগার নতুন মৌসুম। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগেই শুরু হয়ে গেছে মাঠের বাইরের লড়াই। এবারের মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে একটি ম্যাচ খেলতে চায় বার্সেলোনা। এতেই চটেছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের দাবি, এমনটা হলে প্রতিযোগিতার ‘সততা’ নষ্ট হবে এবং ‘অযৌক্তিক সুবিধা’ পাবে বার্সেলোনা।
২০ ডিসেম্বর লা লিগার ১৭তম রাউন্ডে বার্সেলোনার ম্যাচটি মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে আয়োজনের জন্য উয়েফার কাছে অনুরোধ করেছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)। এই হার্ড রক স্টেডিয়ামটি আবার লিওনেল মেসির বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামির হোম ভেন্যু।
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছে রিয়াল। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ক্লাবটি বলেছে, ‘প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোকে আগে থেকে না জানিয়ে নেওয়া এই পদক্ষেপ লিগের মূল নীতি (একটি ম্যাচ নিজেদের মাঠে, অন্যটি প্রতিপক্ষের মাঠে) লঙ্ঘন করে। এতে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং যারা এই অনুরোধ করেছে, সেই ক্লাবগুলো অন্যায্য সুবিধা পায়।’
ইতোমধ্যে ম্যাচটি বন্ধে কাজ শুরু করে দিয়েছে রিয়াল। ‘প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সব ক্লাবের পূর্বানুমতি ছাড়া’ ম্যাচটির অনুমোদন না দেওয়ার জন্য ফিফাকে অনুরোধ করেছে ক্লাবটি। আরএফইএফ-কে তাদের অনুরোধ প্রত্যাহার করতে চাপ দিতে উয়েফাকেও অনুরোধ করেছে রিয়াল। শুধু তা-ই নয়, বিদেশে ম্যাচ আয়োজনের অনুমতির বিরুদ্ধে স্পেনের সুপ্রিম স্পোর্টস কাউন্সিলের (সিএসডি) সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে ক্লাবটি।
ইতালির ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছিল, সিরি-আ’র এবারের মৌসুমে একটি ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজন করবে তারা। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এসি মিলান ও কোমোর মধ্যকার ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে আয়োজন করতে চায় সিরি-আ কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপজুড়ে সমর্থকদের সংগঠন ফুটবল সাপোর্টার্স ইউরোপও (এফএসই) এইসব পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, ঘরোয়া প্রতিযোগিতার ম্যাচ বিদেশে সরিয়ে নেওয়া সমর্থক ও তাদের দলের সম্পর্কের ওপর সরাসরি আঘাত। এফএসই সংগঠনটি ইতালিয়ান লিগের বিদেশে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনারও সমালোচনা করেছে।
গত বছর লা লিগা সভাপতি তেবাস ইএসপিএন-কে বলেছিলেন, ২০২৫-২৬ মৌসুমেই তারা যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাচ আয়োজনের স্বপ্ন পূরণ করতে চান।
লা লিগা কর্তৃপক্ষ অবশ্য আগেও একবার বিদেশে ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করেছিল। ২০১৮-১৯ মৌসুমে তারা মায়ামিতে একটি ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু ফিফা, আরএফইএফ এবং মার্কিন ফুটবল ফেডারেশনের আপত্তিতে সেই পরিকল্পনা আর আলোর মুখ দেখেনি।