উইজডেনের শতাব্দীর সেরা ১৫ টেস্ট সিরিজের দুটি বাংলাদেশের

ক্রিকেটের ‘বাইবেল’ বলা হয় জনপ্রিয় সাময়িকী উইজডেনকে। ক্রিকেট ইতিহাসের বিভিন্ন ইতিহাস, তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে তারা। এবার একবিংশ শতাব্দীর সেরা ১৫টি টেস্ট সিরিজের তালিকা প্রকাশ করেছে উইজডেন। যেখানে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের দুইটি টেস্ট সিরিজ।
উইজডেনের প্রকাশিত ১৫ টেস্ট সিরিজের মধ্যে টাইগারদের একটি সিরিজ জায়গা করে নিয়েছে ১৫ নম্বরে। আরেকটি আছে ৭ নম্বরে। দুটি সিরিজ জায়গা করে নিলেও সেখানে টাইগারদের বীরত্বগাথা আছে একটি সিরিজে। অন্যটিতে আছে চরম হারের গল্প।
২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। যার প্রথমটি হয়েছিল চট্টগ্রামে। সাগরপাড়ে সাব্বির রহমানের দারুণ লড়াইয়ের পরও শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। অবশ্য পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ।
এই সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের। মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশ ব্যাটারদের স্পিন বিষে নীল করেন মিরাজ। তরুণ মিরাজের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ইংলিশরা। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি একাই করেছিলেন ৬ শিকার। দ্বিতীয় ম্যাচে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ১-১ সমতায় শেষ হয় সিরিজ। উইজডেনের একবিংশ শতাব্দীর সেরা টেস্ট সিরিজের তালিকায় ১৫ নম্বরে জায়গা পেয়েছে ২০১৬ সালের এই বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ।
৭ নম্বরে জায়গা পেয়েছে ২০২১ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল চট্টগ্রামে। সেই টেস্টে টাইগার বোলারদের জন্য আনকমন প্রশ্ন ছিল কেইল মায়ার্স। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের ২১০ রানের হার না মানা ইনিংসে ৩ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের লড়াইয়েও শেষ হাসি হাসে ক্যারিবিয়ানরা। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে দেশে ফেরেন তারা।
একুশ শতকের সেরা সিরিজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে ২০২০-২১ মৌসুমে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। সেবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া লড়াইটা করেছিল, কিন্তু ফলাফল নিজেদের করে নিতে পারেনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৬ রানে অলআউট হওয়া ভারত সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। ভারতের এমন প্রত্যাবর্তনের স্বীকৃতি দিয়েছে উইজডেন।