আবারও দেখা গেলো ‘দ্য মুনরো শো’

২০১৭ সালে মাউন্ট মঙ্গানুয়ে টি-টোয়েন্টিতে কলিন মুনরোর সেই ঝড়ের কথা কি ভুলতে পারবে বাংলাদেশি সমর্থকরা? টাইগার বোলারদের শাসন করে ৫৪ বলে ঝঁলমলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপর আর খুব বেশি সেই বিধ্বংসীরূপে দেখা যায়নি নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটারকে। শেষ হয়েছে জাতীয় দলের অধ্যায়ও। তবে লম্বা সময় পরে আবারও দেখা গেলো মুনরো শো।
২০১৬ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলেছেন ত্রিনবাগো নাইটরাইডার্সে। মাঝখানে চলে গিয়েছিলেন ভিন্ন ঠিকানায়। এবারের আসরে আবারও ফিরেছেন পুরোনো ঠিকানায়। ফিরেই ব্যাটহাতে ঝড় তুলেছেন মুনরো। ৫৭ বলে ১২০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে জিতিয়েছেন দলকে। ১৪ চার আর ৬ ছক্কায় সাজানো ছিল মুনরোর ইনিংসটি।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ত্রিনবাগোতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন মুনরো আর অ্যালেক্স হেলস। ২৭ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন হেলস। এরপর নিকোলাস পুরান (১১ বলে ১৩) ও কাইরন পোলার্ড (১৩ বলে ১৯) ফিরেছেন দ্রুতই।
বাকিদের আসা-যাওয়ার ভীরে একপ্রান্ত আগলে রেখে ঝড় তুলে যান মুনরো। ২১ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। এরপর নাসিম শাহকে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫০ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১২০ রানে থামে মুনরোর ইনিংস।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩টি সেঞ্চুরি করা মুনরোর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ত্রিনবাগোর হয়ে এটি মুনরোর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এতে স্পর্শ করলেন নিকোলাস পুরানকে। অবশ্য ব্যক্তিগত ইনিংসে ছাড়িয়েছে গেছেন পুরানকে (১০২ রান)।
রান তাড়ায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের শুরুটাও খারাপ ছিল না। তবে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দলে হয়ে সর্বোচ্চ ২২ বলে ৪৪ রান করেন জেসন হোল্ডার। কেইল মেয়ার্স ২২ বলে ৩২, রাইলি রুশো ২৪ বলে ৩৮ ও ফ্লেচার ২৬ বলে ৪১ রান করেন। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস থামে ২১৯ রানে।