এশিয়া মহাদেশের দলগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে টুর্নামেন্টের ১৭তম আসর। আজ দ্বিতীয় দিন মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। তার আগে দলটির সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন জানালেন, এই টুর্নামেন্টে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখেন না তিনি। টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে টুর্নামেন্টের নাম পরিবর্তন করার কথাও বলেন অশ্বিন।

অশ্বিন বলেন, ‘তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে এবং টুর্নামেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে এটিকে আফ্রো-এশিয়া কাপে রূপ দিতে পারে। এখন যে অবস্থায় আছে, তাদের উচিত ভারত ‘এ’ দলকে এই টুর্নামেন্টে নিয়ে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা।’

এশিয়া কাপের সবচেয়ে বেশি ৮ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এর বাইরে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান শিরোপা ঘরে তুলেছে। বাংলাদেশও তিনবার ফাইনাল খেলেছে। তবে এখনো শিরোপা জেতা হয়নি কখনো। এমন অবস্থায় বাংলাদেশকে হিসাবের মধ্যে রাখেন না তারা।

অশ্বিন বলেন, ‘আমরা তো এমনকি বাংলাদেশকে নিয়ে কথাই বলিনি। কারণ তাদের নিয়ে কথা বলার কিছু নেই। এই দলগুলি ভারতের সঙ্গে লড়াই করবে কিভাবে?'

এশিয়ান ক্রিকেটে বেশ ভালো প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে আফগানিস্তান। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে বেশ ভালো করছেন দেশটির তরুণ ক্রিকেটাররা। রশিদ খানের সঙ্গে মুজিব উর রহমান, নূর আহমেদ, গজনফাররা যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই হুমকির কারণ। সেটি মেনে নিলেও অশ্বিন মনে করেন, এখনো ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে তাদের।

অশ্বিন বলেন, ‘এমনকি আফগানিস্তানের বোলারদের তথাকথিত হুমকির কথাও যদি বলি, ভারত ১৭০-এর বেশি রান করলে তারা কি সেটা তাড়া করতে পারবে? এটা তো অসম্ভরের কাছাকাছি।’

এরপর ভারতকে হারানোর উপায় বলে দেন অশ্বিন–‘ভারতকে হারানোর একমাত্র উপায় হতে পারে, নিজেদের একটা ভালো দিনে কোনোভাবে ভারতকে ১৫৫ রানের মধ্যে আটকে রাখা এবং সেটি তাড়া করা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমনিতে রোমাঞ্চকর, তবে এশিয়া কাপে ভারত এটিকে একতরফা বানিয়ে ফেলবে বলেই মনে হয়।’

সাবেক ভারতীয় এই স্পিনারের চাওয়া এশিয়া কাপের শিরোপা অন্য কারো হাতে উঠুক– ‘আমি একদিক থেকে আশা করি, অন্য কোনো দল যেন এই টুর্নামেন্টে শিরোপা জেতে। তাহলে অন্তত এশিয়া কাপে কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরবে।’