হংকংয়ের বিপক্ষে কেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ

জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে হংকং শক্তিতে পিছয়ে থাকলেও তাদের ছোট করে দেখছেনা লিটনরা। বরং নিজেদের ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ। টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর নিজেদের ঝালিয়ে নিতে বেশ ঘাম ঝড়িয়েছে পুরো দল। তাই প্রথম ম্যাচেই নিজেদের সেরা একাদশ নিয়ে সাফল্যের দেখো পেতে মাঠে নামবে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ হতে পারে আরও আগ্রাসী। বিশেষ করে উইকেট যদি ব্যাটিং উপযোগী হয়। গত ১৮ মাসে পাওয়ার হিটিংয়ে বড় উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন পাওয়ারপ্লেতে বড় শট খেলার জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছেন। দুজন মিলে এবছর ছক্কা মেরেছেন ৪৫ টি। তানজিদ ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন, যা এবছর বাংলাদেশের খেলোয়াড়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া পারভেজের ব্যাট থেকে এসেছে ২২ টি ছক্কা।
অধিনায়ক লিটন দাসকে দেখা যাবে তিনে। চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ১৫ ম্যাচে ৩২.০৭ গড় এবং ১৩৫.৩৮ স্ট্রাইক রেটে ৪১৭ রান করেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
চার নম্বরে তাওহিদ হৃদয়ের নামার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মহীনতায় ভুগছেন তিনি। এছাড়া সাইফ হাসানেরও সুযোগ মিলতে পারে। কেননা ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিন নির্ভর উইকেট হলে তাকে বোলিংয়েও কাজে লাগাতে পারবেন অধিনায়ক লিটন।
মিডল অর্ডারে জাকের আলী অনিকের জায়গা মোটামুটি নিশ্চিত। শেষদিকে বড় শট খেলতে পারা এবং দলের বিপদে ইনংস বড় করতে পারার কারণে তিনি এখন দলের ভরসা হয়ে উঠেছেন। এছাড়া বাঁহাতি ব্যাটার শামীম হোসেনকেও দেখা যেতে পারে মিডল অর্ডারে।
সাত নম্বরে দেখা যেতে পারে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানকে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বল হাতে দুর্দান্ত তিনি, তবে ব্যাট হাতে ডেথ ওভারে দ্রুত রান তোলায় সেভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেননি এখনো।
এরপর চারজন বোলারের মধ্যে তিন পেসারের সঙ্গে একজন স্পিনারকে দেখা যেতে পারে। সেই জায়গায় লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তিন পেসারের মধ্যে অভিজ্ঞ তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তানজিম হাসান সাকিব বা শরিফুল ইসলামকে দেখা যেতে পারে।
সর্বশেষ তিনটি সিরিজে শুরু থেকেই বল হাতে বাংলাদেশকে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে। এই ম্যাচেও প্রথম দশ ওভারে দ্রুত উইকেট নেওয়ার কৌশলেই খেলতে চাইবে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে এই মানসিকতাতেই লিটনরা ধারাবাহিক সাফল্য দেখিয়েছে।
বাংলাদেশের পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেবেন তাসকিন আহমেদ। ঘরের মাঠে সর্বশেষ দুই সিরিজে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪ ম্যাচে ১২ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। পাশাপাশি পাওয়ারপ্লেতে বল করতে দেখা যেতে পারে অফস্পিনার মেহেদী হাসানকেও, এই ভূমিকায় নিজের কার্যকারিতা বহুবার প্রমাণ করেছেন তিনি।
ডেথ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান থাকবেন মূল ভরসা। তাকে সঙ্গ দিতে দেখা যেতে পারে তানজিম সাকিবকে। ভালো বোলিং করার পাশাপাশি শেষ দিকে ব্যাট হাতে আগ্রাসী হয়ে দলের সংগ্রহ বড় করতে পারেন এই পেসার। যেকারণে কারণে শরিফুলের থেকে তানজিমেরই দলে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ।