নতুন আইফোনের পাঁচ তথ্য

আর মাত্র আট দিন পরেই টেক জায়ান্ট অ্যাপল ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তাদের নতুন আইফোনের। ৯ সেপ্টেম্বর অ্যাপলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। তার আগ পর্যন্ত একেবারে মুখে কুলুপ এঁটে আছে অ্যাপল। তবে মুখ বন্ধ নেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর। আগাম তথ্য জানতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর গোটা দুনিয়ার সঙ্গে নতুন মডেলের আইফোন এবং নিত্যনতুন ফিচার পরিচয় করিয়ে দেওয়াটা নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে অ্যাপল। কেমন হতে পারে নতুন আইফোন? সিএনএনের প্রতিবেদন অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক অ্যাপলের আগামী এই ফ্ল্যাগশিপের ব্যাপারে সম্ভাব্য কিছু তথ্য—
নাম
স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে নতুন আইফোনের নাম হতে যাচ্ছে আইফোন ৬ এস। গত বছর বাজারে আসা আইফোন ৬-এর উন্নত সংস্করণ হবে এটি। তবে অ্যাপল এস সিরিজকে বাদ দিয়ে সরাসরি পরবর্তী ধাপ, অর্থাৎ আইফোন ৭-এও চলে যেতে পারে। প্রযুক্তি বাজার-বিশ্লেষকদের মতে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে এস সিরিজ খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। আর সেদিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি ৬ এস বাজারে আনার পরিকল্পনা ঝেড়ে ফেলতে পারে।
আকার
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন আইফোনের আকার থাকছে আইফোন ৬-এর মতো। রেগুলার মডেলের জন্য ৪ দশমিক ৭ ইঞ্চি এবং প্লাস সাইজ মডেলের জন্য ৫ দশমিক ৫ ইঞ্চি পর্দা থাকতে পারে এতে। তবে আগের ফোনের তুলনায় পুরু হবে নতুন আইফোন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, আইফোনের মূল ডিজাইনে কোনো পরিবর্তন আনছে না অ্যাপল।
রং
শুধু কালো ও সাদা রঙের ভেতরে আইফোন আর আটকে নেই, এর প্রমাণ মিলেছে গত কয়েকটি মডেলে। সাদা-কালোর সঙ্গে তারা সোনালি, রুপালি ও স্পেস গ্রে—এই তিন রঙের ফোন বাজারে ছেড়েছে। এবার সে তালিকায় যুক্ত হতে পারে নতুন আরেকটি রং—রোজ গোল্ড। এরই মধ্যে এই রঙের অ্যাপল ওয়াচ এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাজারে ছাড়ার তারিখ
সাধারণত নতুন আইফোন উন্মুক্ত করার সাত থেকে দশ দিনের ভেতরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তা ছাড়া হয়। সাধারণত শুক্রবারই আইফোন বাজারে ছাড়া হয়। গত বছর আইফোন উন্মুক্ত করার ১০ দিন পর বাজারে ছাড়া হয়েছিল নতুন আইফোন। সবকিছু বিবেচনা করে বলা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর হতে পারে নতুন আইফোন বাজারে আসার সম্ভাব্য তারিখ।
ফিচার
রীতি অনুযায়ী, আরো বেশি উন্নত প্রসেসর ও ক্যামেরা সংযুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন আইফোনে। প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই আইফোনের ক্যামেরা হতে যাচ্ছে ১২ মেগাপিক্সেল। আইফোন ৬ মডেলে ছিল ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ফোরকে রেজ্যুলুশনের ভিডিও ধারণের সুবিধাও যুক্ত হবে এই ফ্ল্যাগশিপে।
তবে সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে থাকতে যাচ্ছে ফোর্স টাচ প্রযুক্তি। ফোর্স টাচ নিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় এরই মধ্যে বেশ আলোচনা তৈরি করেছে অ্যাপল।