চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বহিষ্কার ছাত্রলীগের ১২ কর্মী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/10/18/cu_0.jpg)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১২ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উভয় পক্ষ থেকে দুইজনকে এক বছরের জন্য এবং ১০ জনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এদের মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন টিপুর নেতৃত্বাধীন ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের ছয় জন ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের নেতৃত্বাধীন ‘সিএফসি’ গ্রুপের ছয় কর্মী রয়েছেন।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের বহিষ্কৃতরা হলেন ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. নাঈম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল আলম নায়েম, একই শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের আকিব জাভেদ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ হোসেন জয় ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ফরহাদ। এদের মধ্যে আশরাফুল আলম নায়েমকে এক বছর ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সিএফসি গ্রুপের বহিষ্কৃতরা হলেন আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মির্জা খবির সাদাফ, একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের অহিদুজামান সরকার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তানজিল হোসেন ও আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদ ইসলাম। এদের মধ্যে সাদাফকে এক বছর ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, ‘গত কয়েকদিনের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাছাই বাছাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় ১২ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে দুই জনকে এক বছর ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’
প্রক্টর আরও বলেন, ‘বহিষ্কারের মেয়াদ আজ থেকেই কার্যকর হবে৷ এ সময় বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলে অবস্থান করতে পারবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিহাব আরমান মানিক নামের ‘সিক্সটি নাইন’ গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে ‘সিএফসি’ গ্রুপের কর্মীরা। এ নিয়ে সেদিন রাতেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, মারধরের ওই ঘটনার জেরে গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সিএফসির কনিষ্ঠ কর্মীরা আমানত হলে ঢুকতে গেলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সিক্সটি নাইন গ্রুপের তিনজন এবং সিএফসি গ্রুপের একজন আহত হন।
ওই ঘটনার জেরেই রোববার ফের সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এ দুই গ্রুপ।