পূজার ছুটিতে
উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজায়
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/10/05/photo-1570239959.jpg)
বছরের সেই সময়টি উপস্থিত, ভোর ৪টায় উঠে ঘুমকাতুর চোখে রেডিও খুলে ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে’ শুনে দিন শুরু করেন অগণিত বাঙালি। মহালয়ার দিনে মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান ধ্বনিত হয় চতুর্দিকে, শুরু হয় দেবীপক্ষ, দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের সময়।
মহালয়ার দিন থেকেই মূলত শুরু হয় দেবী-বন্দনার আরম্ভ। এবারে পূজার ছুটিতে খুলনার হাকিমপুর সিকদারবাড়ির পূজা দেখে আসতে পারেন। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা এবারও হচ্ছে সেখানে।
যা দেখবেন
মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে বিশাল পূজা প্যান্ডেল। প্যান্ডেলে আলাদাভাবে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মা দুর্গার মূল মণ্ডপের সঙ্গে কয়েকটি সারিতে যুক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। দেখলে মনে হবে পুরো পূজা প্যান্ডেল যেন দেবালয়। বিভিন্ন দেব-দেবী, মা দুর্গার সঙ্গী হয়ে ধরাধামে এসেছেন একসঙ্গে। মহিষাসুরকে যেভাবে বধ করেছিলেন, দেবী দুর্গা তা দেখানো হয়েছে প্রতিমার মাধ্যমে। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনও তুলে ধরা হয়েছে দেব-দেবীর প্রতিমায়। কারিগররা (ভাস্কর) তাঁদের হাতের নিপুণ ছোঁয়া আর রংতুলিতে অপরূপ সাজে প্রতিমা। বিশাল ওই পূজা প্যান্ডেল ঘুরে আরো দেখতে পাবেন, ঘোড়ায় চড়ে দুর্গার মর্ত্যলোকে আগমন, নারায়ণের অনন্ত শয্যা, বিশ্বদেবের সরশয্যা। কুম্ভু অবতার, মৎস্য অবতার, রামচন্দ্রের অকালবোধন, সীতাকে হরণ, রামচন্দ্রের রাবন বদ, মহিনাথ পর্বত, অষ্টশখীর জলকেলি, অভিমুন্নবদ, শ্রীকৃষ্ণের ভক্তপূজা, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ, একমূর্তিতে শিব ও মা দুর্গা, সীতার জন্ম, হরপর্বতী, পঞ্চপান্ডবের বনবাস ও দোলায় চড়ে দুর্গার গমনসহ নানা বিষয় প্রতিমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এমনকি লালন ফকির এবং টেলিফোনের আবিষ্কারক আলেকজান্ডারকে দেখানো হয়েছে প্রতিমার মাধ্যমে।
যাবেন কীভাবে
সিকদারবাড়ির দুর্গাপূজায় যেতে হলে প্রথমে খুলনা অথবা বাগেরহাট আসতে হবে। সেখান থেকে মোংলা রাস্তা দিয়ে যেতে চুলকাঠি বাজারের পাশে পূজা মন্দিরের গেট দেখতে পাবেন। এ ছাড়া খুলনা থেকে হাকিমপুর আসতে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট। খুলনায় অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে। আপনি যেকোনো একটিতে থাকতে পারেন।