পতাকা-প্রত্যর্পণ অনুষ্ঠানে এভারেস্টজয়ী শাকিলের গল্প

বাংলাদেশ থেকে এক হজার ৩৭২ কিলোমিটার হেঁটে ইকরামুল হাসান শাকিলের এভারেস্ট জয়ের পর আজ শুক্রবার (২০ জুন) পতাকা-প্রত্যর্পণ করেছেন। দেশের বিশিষ্টজনেরা লাল-সবুজের যে পতাকা এই অভিযানের শুরুতে তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন, পায়ে হেঁটে এভারেস্ট জয়ের পর আজ সেই পতাকা তিনি তুলে দিলেন বিশিষ্টজনদের হাতে। পরে তিনি বর্ণনা করেন শ্বাসরুদ্ধকর এভারেস্ট জয়ের গল্প।
কক্সবাজার সমুদ্র-সৈকত থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি হেঁটে যাত্রা শুরু করেন শাকিল। এভারেস্ট শিখরে আরোহণ করেন ১৯ মে। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এভারেস্টজয়ী ইকরামুল শাকিল তার কক্সবাজার থেকে হেঁটে এভারেস্ট জয়ের রুদ্ধশ্বাস অভিযানের কথা তুলে ধরেন।
শাকিল বলেন, আমার ইচ্ছে ছিল সমুদ্রের সাথে পর্বতের ব্রিজ তৈরি করা। সবার ভালোবাসা ও সহযোগিতায় সেটি আমি করতে পেরেছি। পর্বতারোহীরা যদি স্পন্সর পান তবে বিভিন্ন পর্বতচূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা তারা ওড়াতে সক্ষম হবেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, দেশের তরুণদের মধ্যে পাহাড় ভ্রমণ ও পাহাড়ে অভিযানের উৎসাহ বাড়াতে হবে। দুঃসাহসিক এসব কাজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, হিমালয় অভিযানে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। শাকিলের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে শুরু করে এভারেস্টের চূড়া পর্যন্ত পুরো পথ হেঁটে পৌঁছানোর কৃতিত্ব এর আগে কারো নেই। এ ধরনের অভিযানের জন্য সাহস ও সহনশীলতার প্রয়োজন।
এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী এম এ মুহিতের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মার্কেটিং তোষন পাল, ইউএনডিপি'র প্রোজেক্ট কমিউনিকেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট সারাহ বিনতে সাখাওয়াত, লায়ন কল্লোল গ্রুপের ব্র্যান্ড ম্যানেজার আহসান হাবীব শুভ।