আসাম-মিজোরাম সীমান্তে সংঘর্ষ : ছয় পুলিশ নিহত

ভারতের আসাম-মিজোরাম সীমান্ত অঞ্চলে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আসামের ছয় পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন পুলিশ সদস্য ও সাধারণ মানুষ। খবর এনডিটিভির।
এদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় টুইটারে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সংবিধান স্বীকৃত আসাম-মিজোরাম সীমান্ত রক্ষার সময় আসাম পুলিশের ছয়জন বীর জওয়ান নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি।’
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, কয়েকমাস ধরেই সীমান্ত নিয়ে বিবাদ চলছে আসাম ও মিজোরামের। বিতর্কিত এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করেছিল দুই রাজ্যই। জানা গেছে, আসামের কাছাড় জেলায় মিজোরাম সীমান্তে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সোমবার তা ভয়াবহ রূপ নেয়।
আসাম পুলিশের ওপর মিজোরামের দিক থেকে গুলি চালানো হয়। ফলে মৃত্যু হয় ছয় পুলিশ সদস্যের। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কাছাড় জেলার পুলিশ সুপার নিম্বলকর বৈভব চন্দ্রকান্ত।
মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, তাদের সীমানায় আসাম পুলিশের অন্তত ২০০ জনের একটি বাহিনী ঢুকে পড়ে। তারাই আগে গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় মিজোরামের পুলিশ। মিজোরামের কলাসিব জেলার ভাইরাংটে গ্রাম ও আসামের কাছাড় জেলার লায়লাপুর এলাকায় গত বছরও ভয়াবহ সংঘর্ষ হয় দুই রাজ্যের মানুষের মধ্যে।

দুই দিন আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপরেই এমন ঘটনা ঘটল।
এ ঘটনার পর দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে টুইট করেন। সহিংসতা বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তাঁরা।
মিজোরাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথঙ্গা এক টুইটে বলেন, ‘শ্রী @ আমিতশাহ জি…দয়া করে বিষয়টি দেখুন। এটি এখনই বন্ধ হওয়া দরকার।’
অন্যদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক টুইটে বলেন, ‘মাননীয় জোরামথঙ্গা জি আপনি কী দয়া করে খতিয়ে দেখতে পারেন যে, মিজোরামের নাগরিকরা কেন হাতে লাঠিসোঁটা তুলে নিয়েছে এবং কেন সহিংসতা চালানোর প্ররোচণা দেওয়ার চেষ্টা করছে? আমরা বেসামরিক নাগরিকদের অনুরোধ করছি যে, তারা নিজের হাতে আইন তুলে না নেয় এবং সরকারসমূহের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সংলাপের অনুমতি দেয় @ অমিতশাহ @ পিএমও ইন্ডিয়া।’