ইন্দোনেশিয়ায় ৭.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/04/25/earthquake-pixabay_0.jpg)
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের পশ্চিমে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও দুই ঘণ্টা পর তা তুলে নেওয়া হয়। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর রয়টার্স ও জাকার্তা পোস্ট।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূপদার্থবিষয়ক সংস্থা (বিএমকেজি) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ৮৪ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ফলে প্রাথমিক একটি সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা আরও জানায়, এপিসেন্টারের সবচেয়ে নিকটবর্তী দ্বীপ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। বিএমকেজি ভূমিকম্প আঘাত হানা এলাকার বাসিন্দাদের সাগরের তীর থেকে দূরে অবস্থান করতে বলেছে।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/04/25/indoneshiyyaa_inaar.jpg)
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেন, কম্পন কিছুটা শক্তিশালী ছিল। তবে, এখনো ক্ষয়ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়নি।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৬ রেকর্ড করেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপও ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূ-কম্পন রেকর্ড করে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার ওপর ইন্দোনেশিয়া অবস্থিত। এই অঞ্চলটিকে রিং অব ফায়ার বলা হয়। দেশটিতে এর আগেও বহুবার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২০০৯ সালে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১১০০ এবং ২০১৮ সালে সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন।