এমন অবরোধ আরোপ হবে, যা তারা আগে দেখেনি : ইরাককে ট্রাম্পের হুমকি

ইরাকের ওপর চরম অবরোধ আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরাকের পার্লামেন্ট মার্কিন সেনাবাহিনীকে দেশটি ছেড়ে চলে যেতে আহ্বান জানানোর পর এমন হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের খুবই ব্যয়বহুল একটি বিমানঘাঁটি ইরাকে আছে। এটি নির্মাণে শত শত কোটি ডলার খরচ হয়েছে। তারা যতক্ষণ না এটার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে, ততক্ষণ আমরা ইরাক ছাড়ছি না।’
যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ইরাকের রাজধানী বাগদাদ সফররত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর থেকেই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের পর ইরান ‘চরম প্রতিশোধ’ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বাষট্টি বছর বয়সী সোলেইমানি ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি সামরিক কর্মসূচীর প্রধান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চোখে সোলেইমানি ছিলেন সন্ত্রাসী।
এদিকে জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ ইরানে নেওয়ার পর দেশটিতে কয়েকদিনব্যাপী শোক চলছে। স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকালে সোলেইমানির শোকযাত্রায় ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় নামে লাখো মানুষের ঢল।
তেহরানে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ মার্কিন হামলায় নিহতদের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল আলি খামেনি।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বহিষ্কার করার শপথ নিয়েছেন নিহত জেনারেল সোলেইমানির নেতৃত্বাধীন কুদস ফোর্সের নতুন প্রধান ইসমাইল কানি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বেতারে ইসমাইল কানি বলেন, ‘আমরা শহীদ সোলেইমানির দেখানো পথে সমান শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি... এবং আমাদের জন্য একমাত্র ক্ষতিপূরণ হবে এই অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে তাড়ানো।’
ইরাককে কী হুমকি দিচ্ছেন ট্রাম্প?
প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত বিমানে বসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরাক যদি শত্রুতামূলকভাবে মার্কিন সৈন্যদের (ইরাক থেকে) চলে যেতে বলে, ‘তাহলে আমরা তাদের ওপর এমন অবরোধ আরোপ করব, যা তারা আগে কখনো দেখেনি। এই অবরোধের কাছে ইরানের ওপর আরোপিত অবরোধকে কম বলে মনে হবে।’
কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে ইরাকে বর্তমানে পাঁচ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। গতকাল রোববার ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিরতি টানে এই জোট। একইদিন ইরাকি এমপিরা পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস করেন, যেখানে বিদেশি সেনাদের ইরাক ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়।