করোনাভাইরাস : ইউরোপের চার দেশে একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু

ইউরোপের যে দেশগুলোর ওপর বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে চারটি দেশে একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতে একদিনে ৩৬৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে, তাতে দেশটিতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০৯ জনে। স্পেনে একদিনে মারা গেছেন ৯৭ জন। দেশটিতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৮ জন। ফ্রান্সে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের মোট সংখ্যা ১২০ জন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে করোনায় একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছেন ১৪ জন, তাতে দেশটিতে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫ জন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলো করোনা মোকাবিলায় নাগরিকদের চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আনার পাশাপাশি সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে।
চীনে করোনাভাইরাসের মহামারি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু করলেও বিশ্বেজুড়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে বিশ্বের ১৫৭টি দেশে এই রোগ ছড়িয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৬৯ জন। এর মধ্যে ৭৫ হাজার ৯১০ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসা চলছে ৮৩ হাজার ৫৮৪ জনের। আর এই ভাইরাসের থাবায় মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ৪৭৫ জনের। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিএনও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। করোনায় চীনেই সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ১৯৯ জন। তবে গত কয়েক দিনে চীনে করোনায় আক্রান্তের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
কিন্তু এর ঠিক উল্টো চিত্র ইউরোপ মহাদেশজুড়ে। এ মুহূর্তে চীনের পরিবর্তে ইউরোপ করোনা মহামারির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে বলে এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইউরোপে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইউরোপে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ইতালি, স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের। চীনের পরে এখন পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে পরিস্থিতি আরো ভায়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন।