তাইওয়ানকে সহায়তার ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের, আগুন নিয়ে না খেলার হুঁশিয়ারি চীনের
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/04/16/taiwan.jpg)
স্বশাসিত তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাবেক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের একটি দল গত বৃহস্পতিবার তাইওয়ান সফরে আসেন। বলা হচ্ছে ভবিষ্যতে তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার হতে যাচ্ছে—এই সফর তারই ইঙ্গিত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএনআই এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে চীনও পাল্টা যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলেছে, তারা যেন তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে না খেলে। ওয়াশিংটন সম্প্রতি নতুন নির্দেশনা জারি করে মার্কিন কর্তাব্যক্তিদের তাইওয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে খোলাখুলি দেখা-সাক্ষাৎ করার সুযোগ করে দিয়েছে, তারও তীব্র বিরোধিতা করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
কয়েক মাস ধরেই তাইওয়ানের নিকটবর্তী এলাকায় সামরিক তৎপরতা বাড়িয়ে যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছে চীন। এখন পর্যন্ত পরমাণু শক্তিধর ২৫টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ান সীমান্তে উড়তে দেখা গেছে বলে তাইওয়ানের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের হুঁশিয়ারি বার্তা ছিল যে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা অর্জনের যেকোনো চেষ্টার অর্থ হবে যুদ্ধ। এরপরই দেশের নিরাপত্তা জোরদার করতে উঠেপড়ে লাগে তাইওয়ান প্রশাসন।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/04/16/taiwan_inside.jpg 687w)
গত বুধবার সাবেক মার্কিন সিনেটর ক্রিস ডড, দুজন সাবেক মার্কিন প্রতিমন্ত্রীসহ অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তারা তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে পা রাখেন। জানা গেছে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের মধ্য দিয়ে তাইওয়ানের স্বায়ত্তশাসন অটুট রাখার জন্য সহায়তা করার ইঙ্গিত দেন তাঁরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের এমন আচমকা সফর হোয়াইট হাউসের এক সদস্যের ভাষায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘ব্যক্তিগত ইঙ্গিত’বাহী। জো বাইডেন চীনকে কোণঠাসা করতে উদ্যত—এমনটাই মনে করছেন রাজনীতিকেরা।
সফরকারী মার্কিন দলের সঙ্গে বৈঠকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেন, চীন সামরিক ঔদ্ধত্য দেখিয়ে তাইওয়ানের স্বাধীনতায় বার বার হস্তক্ষেপ করছে। এতে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি কখনোই কাম্য নয়। তিনি আরও জানান, বহিঃশত্রু মোকাবিলায় এবং সাগর পাড়ের শান্তিরক্ষায় তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে সক্রিয় হতে চায়। মার্কিন-তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়।
চীনের সীমান্তে তাইওয়ান আজও চীনের পদানত থাকবে—এমন দাবি মেনে নিয়ে গুটিয়ে থাকা সম্ভব নয় বলে জানান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট।